মাসে মাত্র ৫৫ টাকা জমালেই পাওয়া যাবে ৩৬,০০০ টাকা সরকারি পেনশন, জানুন কীভাবে
বার্ধক্য খরচ নিয়ে শ্রমিকদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই। বেসরকারী সেক্টরের সকল শ্রমিকদের জন্য শ্রম যোগী মানধন যোজনা স্কিম চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পের আয়ত্তায় রাস্তার ধারে চা বিক্রেতা , রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন। এই প্রকল্পে সরকার পেনশনের সুবিধা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য একাধিক পরিকল্পনার মধ্যে এই মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হল সকল ব্যক্তিদের বার্ধক্য জীবন সুরক্ষিত করতে সরকারের তরফে এই সহায়তা করা হয়।
এই স্কিমে একজন ব্যক্তি প্রতি দিন মাত্র ২ টাকা জমা দেন তাহলে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন। কী ভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া যাবে, নিচে বিস্তারিত ভাবে বলা হল। প্রতি মাসে গ্রাহককে ৫৫ টাকা জমা দিতে হবে। এই স্কিম শুরু করতে প্রতিটি গ্রাহককে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা অর্থাৎ দৈনিক ২ টাকা করে জমা দিতে হবে। ১৮ বছর বয়স থেকে একজন গ্রাহক যদিন প্রতি দিন প্রায় ২ টাকা করে সঞ্চয় করে বার্ধক্য বয়সে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকা টাকা পেনশন পেতে পারবেন।
যদি কোনও ব্যক্তি ৪০ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পটি শুরু করেন তবে তাঁকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে জমা দিতে হবে। আর সেই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই এই পেনশন শুরু হয়ে যাবে। ৬০ বছর অবধি সেই ব্যক্তি টাকা জমা দেওয়ার পর প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে বছরে মোট ৩৬,০০০ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে।
এই স্কিম চালু করার জন্য কী কী নথির প্রয়োজন হবে?
এই স্কিমে আবেদন করার জন্য গ্রাহককে প্রথমে একটি সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং আধার কার্ড থাকতে হবে। আর আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
কী ভাবে আবেদন করা যায়?
এই স্কিমের জন্য প্রথমে আবেদনকারীকে কমন সার্ভিস সেন্টারে নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর CSC পোর্টালে গিয়ে অনলাইনে এই প্রকল্পের জন্য সেই আবেদনকারো আবেদন করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র এই প্রকল্পের জন্য একটি আলাদা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছে। আর এই আবেদন ফর্মে সমস্ত তথ্য যথাযথ ভাবে পূরণ করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন ফর্মে কী কী তথ্য দিতে হবে?
এই স্কিমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীকে নিজের আধার কার্ড নম্বর, সেভিংস বা জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক এবং একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, সরকার যাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাসিক টাকা কেটে নিতে পারে সেই মর্মে ব্যাঙ্কের থেকে একটি সম্মতিপত্র নিয়ে নিতে হবে।