কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত গোটা শহর। একদিকে যেমন এই অভিযান রুখতে তৎপর পুলিশ, উল্টোদিকে আবার অভিযানকে সফল করতে মরিয়া বিজেপি। তাই সব মিলিয়ে দিনভর তিলোত্তমার রাজপথ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। যাতে অশান্তি এড়ানো যায়, তার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার এবং আগামিকাল, শুক্রবার নবান্ন বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও রুটিনমাফিক স্যানিটাইজেশনের যুক্তি দিয়ে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নবান্ন বন্ধ থাকলেও বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে অশান্তি এড়ানো গেল না। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন ছিল ব্যারিকেড, পুলিশের টহলদারি এবং কমব্যাট ফোর্স। কিন্তু তাও যত সময় এগিয়েছে, ততই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা শহর।
করোনা পরিস্থিতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাতারে কাতারে লোক এই অভিযানে যোগ দিয়েছে। হেস্টিংস, জিটি রোড সংলগ্ন এলাকায় কার্যত অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে নবান্নের দিকে এগিয়ে আসে দলে দলে লোক। এমনকি পুলিশের দিকে মারমুখী হয়ে এগিয়ে আসে বিজেপি কর্মীরা। এমন অভিযোগ করা হয়েছে। অশান্তির সূত্রপাত হয় সাঁতরাগাছিতে। সেখানে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারী দল। কিন্তু পুলিশ জলকামানের সঙ্গে বেগুনি রং ছুড়ে মারলেও তাদের আটকানো যায়নি। ফলে এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নয়।
সাঁতরাগাছি, ডানকুনি, হেস্টিংস, ডুমুরজলা এলাকায় কার্যত বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া ময়দানের কাছে বোমা ফাটানো হয়। টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে দেওয়া হয়। টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দেখে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। সেখানে দিলীপ ঘোষের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এমনকি পুলিশের লাঠিচার্জে রাজু বিস্ত লুটিয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার গোটা শহর এমনটা বলাই যায়।