বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক পারদ ঊর্ধ্বমুখী। এই নিয়ে প্রবল বাকবিতণ্ডা চলছে শাসক দল এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করলেন সাংসদ সৌগত রায়। সৌগত বাবু বললেন, পুলিশ জলকামান দেগেছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে। কিন্তু পুলিশ কোন গুলি চালায় নি। উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রসঙ্গে এরকমভাবে পুলিশের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করলেন সাংসদ সৌগত রায়।
এদিন বিজেপির অভিযোগের বিরুদ্ধে সৌগত রায় পাল্টা অভিযোগ দেগে বলেন,”লোকেরা পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে।তারাই ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে এবং পুলিশের উপরে ইটবৃষ্টি করেছে। একমাত্র ময়নাতদন্তের পর এই প্রকৃত কারণ জানা যাবে মৃত্যুর। তাই এর আগে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃত্যু নিয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”
বিজেপির অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি বললেন,” দীলিপবাবু আগেভাগে ঘোষণা করেছেন। আমরা এটা স্বীকার করছি না। দিলীপ বাবুদের লক্ষ্য ছিল যাতে পুলিশ গুলি চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল কিন্তু পুলিশ গুলি চালায় নি। এই যে বিজেপি বেআইনি সমাবেশ করে অশান্তির সৃষ্টি করছে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত্যু হয় বছর পঞ্চাশের বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তার দিকে গুলি ছোড়ার। দুপুর দুটো নাগাদ বিজেপির এই কর্মসূচিতে বিজেপি এবং পুলিশের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ শুরু হয় শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে। সেখানে বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। তারপর, পুলিশ জলকামান দেগে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মাঝখানে জানা যায় পুলিশ রাবার বুলেট ফায়ার করেছিল। সেই রাবার বুলেট গিয়ে সোজা লাগে বছর পঞ্চাশের বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের বুকে। তার পায়ের সামনে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে তিনি লুটিয়ে পড়েন।
তারপর স্থানীয় ফুলবাড়ীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও সৌগত রায় দাবি করেছেন,”উত্তরবঙ্গে যে বন্ধ ডাকা হয়েছে সেই বন্ধ সফল হবে না। আমরা পশ্চিমবঙ্গে বন্ধের বিরুদ্ধে। তাই স্বাভাবিক জনজীবন সেখানে চলতে থাকবে।”