বছর শুরুর প্রথম সপ্তাহতেই কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) বিজেপি দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। আজ অর্থাৎ সোমবারের বিজেপির মিছিলের অনুমতি দেয়নি লালবাজার। কিন্তু মধ্যরাতে বৈঠক করে বিজেপি শিবির জানিয়ে দিয়েছে যে তারা মিছিল করবেই। আর অন্যদিকে মিছিল আটকাবার জন্য প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন। লালবাজার সূত্রে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মিছিল করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই জন্য আজ ডিসি পোর্ট জাফর আজমল কিদোয়াইএর নেতৃত্বে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন আছে। দরকার পরলে জলকামান চালানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
আজ কলকাতা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম রণক্ষেত্রে নামছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও আজকের এই মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল শোভন বৈশাখীর। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আজ মিছিলে থাকতে পারছেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূচি অনুযায়ী বিকেল তিনটে নাগাদ ১৪ নম্বর অফ আর্গণ রোড থেকে মিছিল শুরু করবে বিজেপি। তারপর তারা মমিনপুর ক্রসিং, মাঝেরহাট, তারাতলা, নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, টালিগঞ্জ ফারি, এসপিএম রোড, রাজবিহারী ক্রসিং, হাজরা মোড়, পাক স্টিট হয়ে মুরলীধর সেন স্ট্রিটে বিজেপি সদর দপ্তর কার্যালয় পৌঁছাবে। তারা তাদের মিছিলে বাইক, হুডখোলা জীপ, প্রাইভেট গাড়ি মিলিয়ে মোট ৭০-৮০ টি গাড়ি ও ৭০০-৮০০ বাইক নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিজেপির কর্মসূচি সম্বন্ধে জেনে গতকাল লালবাজারের তরফে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সোমবারের বিজেপির মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭০ টি গাড়ি, এত বড় রুট এবং এত মানুষ নিয়ে সোমবার মিছিল করতে দেওয়া সম্ভব না। এত বড় রুট, গাড়ি ও মানুষ নিয়ে বেরোলে একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাবে গোটা কলকাতা। সেই যানজট ক্লিয়ার করতে করতে রাত গড়াতে পারে। সেই কারণে পুলিশ সোমবারের শোভন-বৈশাখীর মিছিলের অনুমতি দিতে পারছে না।
তারপর গতকাল রাতেই বিজেপি নেতাকর্মীদের বৈঠকের পর তারা জানায় তারা অনুমতি না পেলেও মিছিল করবে। কলকাতা পুলিশ আজ জানিয়ে দিয়েছে তারাই মিছিল হতে দেবে না। মানুষকে আটকাতে অর্ফানগঞ্জ রোড ও ডিএইচ রোডের ক্রসিংয়ে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার গ্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও হেস্টিংস ক্রসিং এর কাছে গার্ডওয়াল মজুদ করা হচ্ছে। তৈরি রয়েছে জলকামান বাহিনী। অন্যদিকে মিছিল শুরুর পয়েন্টে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চৌধুরী থাকবেন। গোটা পুলিশি অপারেশনের তদারকি করবেন তিনি।