চলতি বছরে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন নিয়ে পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো।কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শনিবার রবীন্দ্র সরোবরে পালিত হয়েছে ছট পুজো এবং সরোবরের জলে ছড়িয়েছে দেদার দূষণ। জলাশয়ে নির্বিচারে মারা পড়লো জলজ প্রাণীরা। আজ, সোমবার জলের উপর ভেসে উঠলো মরা মাছের দেহ।
দক্ষিণ কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলের মাঝে রবীন্দ্র সরোবর হল এক চিলতে সবুজ যাকে দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুসও বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রতি বছর ছট পুজোর সময়ে দূষণের ফলে এই সরোবরের চেহারা সম্পূর্ন বদলে যায়।এবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো যাতে কোনও ভাবেই না হয় তা আটকানোর জন্য রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলো পরিবেশ আদালত। এবং এই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে কোনো কসুর ছাড়ে নি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
পুরসভার পোস্টার লাগানো থেকে শুরু করে ৪ টি গেটে প্রায় ৪০ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শুক্রবার সকাল ১১ নাগাদ কিছু যুবক সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে দেয় এবং গেট বন্ধ থাকার কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বচসা শুরু করলে কিছু মহিলা পুজোর সামগ্রী নিয়ে সরোবরে ঢুকে পড়ে। এবং তাদের পুজোর সামগ্রী থেকে সৃষ্টি হয় দূষণ যার পরিণতি ভোগ করছে জলাশয়ে নিরীহ জলজ প্রাণী গুলি।
এই গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবেশ কর্মীরা জানান যে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বনাশ করা হল জলাশয়ের জীববৈচিত্র্যের। এছাড়া গোটা ব্যাপারটায়. পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে উঠে এসেছে প্রশ্ন। স্থানীয় ব্যাক্তিরা অভিযোগ করেন যে পুলিশ সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলো।