Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

দৃশ্যমানতা কমছে, দূষণে থমকে গিয়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা

Updated :  Monday, November 9, 2020 4:55 PM

নয়াদিল্লি: শীতকালে দূষণে ভরা জীবনযাপন করে দিল্লিবাসীm তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ লকডাউন হওয়ার ফলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কারণ, সাত-আট মাস লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল কল-কারখানা। যানবাহন চলছিল না। এমনকি প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানো হচ্ছিল না। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। যমুনায় ফিরে এসেছিল নীল জল। কিন্তু সে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না। ফের দূষণে জেরবার দিল্লি। ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। দীপাবলীর আগেই লাগামছাড়া দিল্লির দূষণ।

দূষণের ফলে বহু জায়গায় দৃশ্যমানতা অনেক কমে গিয়েছে। আজ, সোমবার সকালে দিল্লির অনেক অঞ্চল কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল। এর ফলে রাস্তার কিছু দেখতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। যার ফলে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়। একই সঙ্গে, দূষণের কারণে মানুষের চোখ জ্বলছে। কষ্ট হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে। তবুও রোজগারের জন্য রাস্তায় তো বেরোতেই হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে দূষণের কারণে রাজধানীর যা অবস্থা, তাতে প্রাণ হাতে নিয়েই সকলে বেরোচ্ছে, এমনটা বললে ভুল বলা হবে না।

সোমবার সকালেও দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বায়ুর গুণগত মানের (AQI) সূচক ছিল ৪৫০-এর বেশি। আইটিও-র বাতাস একেবারে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। আজ সকালে হআইটিও-র এইয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৭২, যা মারাত্মক। গত কয়েক দিন ধরে নয়াদিল্লি, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুড়গাঁও এবং দিল্লি-সহ ফরিদাবাদে বায়ু দূষণের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।

দূষণে ক্রমশ বাড়ছে তীব্র শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও নানা ধরনের অ্যালার্জির উপসর্গ। বাড়ছে ফুসফুস ও শ্বাসজনিত রোগ। দিনদিন বাড়ছে অ্যালার্জিক রাইনিটিস, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, অ্যানাফিলেক্সিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে অ্যাটোপিক একজিমা বা অন্যান্য চর্মরোগও। দীর্ঘ দূষণে ক্রমশ কমছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একেই দেশ তথা দিল্লির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তার ওপর বায়ুদূষণ কার্যত নাজেহাল করে রেখে দিয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের জীবন। উৎসবের মুখেও তাই কারোর মুখে হাসি নেই। সকলের মনেই যেন একটা আতঙ্ক বাসা বেঁধে রয়েছে। শিশু, বয়স্কদের বাড়ির বাইরে বের না করতে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া রাজধানী বিপদজনক হয়ে উঠছে দিনদিন, তা বলাই যায়।