নয়াদিল্লি: শীতের সময় রাজধানী যেভাবে দূষিত হয় প্রত্যেক বছর, এ বছর তেমনটা হবে না, এমনটাই আশা করেছিল দিল্লিবাসী। কারণ, লকডাউনের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কল-কারখানা ছিল বন্ধ। যানবাহন চলছিল না। প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানো হচ্ছিল না। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। যমুনায় ফিরে এসেছিল নীল জল। কার্যত যমুনার তীরের নীল আবহাওয়া রাজধানীকে শীতল এবং নির্মল করে তুলেছিল। কিন্তু রাজধানীবাসীর সেই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না। শীতের আমেজ আসতে না আসতেই ফের দূষণে জেরবার দিল্লি। ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। দিওয়ালির আগেই লাগামছাড়া দিল্লির দূষণ।
শহরের অনেক অঞ্চলে বাতাসের গুণমান এমন যে এটিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে দিল্লিবাসীদের। দিল্লির অনেক জায়গায়, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘গুরুতর’ বিভাগে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে, দিল্লির আনন্দবিহার এলাকাযর একিউআই ছিল ৪২২। এই অবস্থা শিশু এবং বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব খারাপ। তার মধ্যে করোনা পরিস্থিতি থাকায় দিল্লির অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে।
আনন্দবিহারের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির বেশ কিছু এলাকার একিউআই ৪০০ দিয়েছে। দিল্লির আরকে পুরামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪০৭, দ্বারকা – ৪২১, সেক্টর 8 এবং বাওয়ানায় একিউআই ছিল ৪৩০। দিল্লিতে বছরের পর বছর একই ছবি। আর প্রতি বছর দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। সময়সীমা বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়ে যায় যে সবার শ্বাস নিয়ে কষ্ট হয়। বিশেষত প্রবীণ এবং শিশুরা এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টে-তে গাজিয়াবাদের একিউআই ছিল ৪৬৪। সেই সময় দিল্লিতে ৫০০ ছাড়িয়ে ছিল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স । এরপর গ্রেটার নয়ডায় ছিল ৪৭৭, নয়ডায় – ৪৫০, গুড়গাঁওতে – ৪৪৩ আর ফরিদাবাদে ছিল ৪১০। সুতরাং, সব মিলিয়ে শীত পুরোদমে আসার আগেই দূষণের কারণে দিল্লির মানুষজনের অবস্থা জেরবার, এমনটা বলাই যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দিল্লির দূষিত অবস্থা খুবভাবে ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।