শ্রেয়া চ্যাটার্জী: কলকাতায় বা মফস্বলে এখন উঠে গেছে বড় বড় শপিং মল। কংক্রিটের জঙ্গলে আমাদের দমবন্ধ হয়ে যায়। শপিং মলের বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড়ের সম্ভার। কোথাও কোথাও বাঙালিয়ানা কোথাও পাঞ্জাবি তো কোথাও কোট-প্যান্ট কোথাও শাড়ি কোথাও জিন্স টপ।
কিন্তু আমরা যদি গ্রাম বাংলার সাজগোজের দিকে তাকাই তো দেখবো এখানে আড়ম্ভর প্রায় নেই বললেই চলে, সপ্তাহে হয়তো কোন একটা দিন একটা হাট বসে, পুজোর আগে হয়তো সেই হাটে একটু জামাকাপড় সম্ভব তা বেশি থাকে। মহিলাদের জন্য থাকে রংবেরঙের শাড়ি আর পুরুষদের জন্য থাকে খুব সাধারন শার্ট-প্যান্ট বা ধুতি। বাচ্চাদের জন্য থাকে রংবেরঙের ফ্রক, কিন্তু তাতে শহুরে আদব-কায়দা এখনো শুরু হয়নি।
কলকাতার মেয়েরা ফিনিশিং টাচ দেয়, তারা বিউটি পার্লারে গিয়ে পায়ের পেডিকিওর-মেনিকিওর করে হেয়ার স্টাইল করে চুল কেটে, এবং ফেসিয়াল করে। কিন্তু গ্রাম বাংলাতে সব পাওয়া যায় না, হয়তো করার প্রয়োজন পড়ে না কারণ এখানকার জীবন খুবই সাবলীল, সাধারণ তাই চুল কেটে হেয়ার স্টাইল করা এখানে বোধহয় খুব একটা দরকার হয় না, কারণ গ্রাম বাংলার মহিলাদের সবারই থাকে বেশ লম্বা বিনুনি বেশ বড় খোঁপা, তাই তাদের হেয়ার স্টাইল এর জন্য প্রয়োজন হয় চুলের ফিতে অথবা খুব কাটা।
চোখ সাজানোর জন্য এখানে প্রয়োজন হয় না দামী দামী কাজল মাস্কারা। এখানে গ্রামের মেয়েরা প্রদীপের সলতে থেকে কাজল তৈরি করে চোখে পরে।কাজল পরা মেয়েটির বন্য চোখের দিকে তাকিয়ে তার প্রেমিক অথবা স্বামী হয়তো বলে উঠতে পারে ‘ওগো কাজল নয়না হরিণী’।