জন্টি রোডসের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন নিকোলাস পুরান। ফিল্ডিংকে একপ্রকার শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ক্রিকেটার।পাখির মত উড়ে গিয়ে ধরেছিলেন সচিন তেন্ডুলকরের ক্যাচ। অথবা তাঁর ১৯৯২ এর বিশ্বকাপে শরীর ছুড়ে উইকেট ভেঙে ইনজামাম উল হককে রান আউট করা আজও স্মৃতিতে রয়ে গেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের । রবিবার শারজায় পুরানো দিনের সেই জন্টি রোডসকেই যেন ফিরিয়ে আনলেন নিকোলাস পুরান।ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের ইনিংসের ৭.৩ ওভারে যখন বল করছিলেন পঞ্জাবের বোলার মুরুগান অশ্বিন।
তাঁর করা হালকা শট বলকে সপাটে পুল মারেন সঞ্জু স্যামসং।যা ছিল নিশ্চিত ছক্কা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে বাউন্ডারি লাইনে শরীর ছুড়ে বলটিকে মুঠোবন্দি করে ফেলেন পুরান। কিন্তু পুরান বুঝতে পারেন যে তাঁর শরীর বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই তৎক্ষনাৎ উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শূন্যে ভেসে থাকা অবস্থাতেই বল ছুড়ে দেন মাঠের ভিতরে। সেই যাত্রায় ছক্কা বাঁচিয়ে দেন পুরান। তখন পাশে অন্য ফিল্ডার উপস্থিত থেকে হয়ত ক্যাচও হয়ে যেত বলটি। এরকম দুরন্ত ফিল্ডিং সচরাচর দেখা যায় না।প্রসঙ্গত উল্লেখ, এই বছর কিংবদন্তি জন্টি রোডস পুরানদের দলেরই ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
তিনি ওই সময় ডাগ আউটে বসে ছিলেন। পুরানের এই ফিল্ডিং দেখে আর বসে থাকতে পারেননি তিনি। উঠে দাঁড়িয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে পুরানকে সম্মান জানান তিনি। যা অবশ্যই পুরানের মত তরুণ ক্রিকেটারের কাছে একটা বড় পাওয়া। পুরানের এই ফিল্ডিং দেখে উচ্ছাসিত সচিন টেন্ডুলকারও। তিনি টুইট করে জানান যে এরকম রান বাঁচানো তিনি এর আগে দেখেননি। কিছুদিন আগে একটি একসিডেন্ট পা ভেঙে যায় পুরানের। অপারেশন ও করতে হয়। সেই অবস্থা থেকে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন তিনি। যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।