বঙ্গে অসময়ে বৃষ্টির ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। গত সপ্তাহের পশ্চিমী ঝঞ্জার ফলে জমিতে জমে গিয়েছে জল। যার ফলে জমিতে থাকা ফসলের ক্ষতি হয়েছে অপরিসীম। এই বৃষ্টিতে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আলু চাষীরা, এমনটাই আশংকা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অসময়ে বৃষ্টির ফলে জমিতে জল জমে গিয়েছে যার ফলে জমিতে থাকা আলু পচবে কিনা সে বিষয়ে ঘোর সংকটে আলু চাষিরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর ফলে বাড়তে পারে আলুর দাম। গত কয়েক মাস আগেই পিঁয়াজের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী, এবার আশংকা করা হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া হতে পারে আলুর দাম।
আলু চাষীদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংকটে কাটোয়া-কালনা আলু চাষীরা। এমন অকাল বর্ষনে মঙ্গলকোটের দুর্মুট, বনকাপাশি, চালক, কাটোয়ার সুদপুর, শ্রীখণ্ড, বিজয় নগর এইসমস্ত অঞ্চলগুলিতে জমে গিয়েছে জল। চাষিরা জানাচ্ছেন মাটিতে জল জমে যাওয়ার ফলে আলু জমি থেকে অপসারণ করতে দেরি হতে পারে। ওই জমা জলে আলু পচতে পারে বলে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কালনা-১ এর বাঘনাপাড়ার শিকারপুরে ক্ষতির মুখে পড়েছে আলুচাষিরা। তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন ফের যদি বৃষ্টি হয় তবে ঘোর বিপদের মুখে পড়বেন তারা।
আরও পড়ুনঃ কেরালায় ৬, কর্ণাটকের আরও ৩, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৬
দুর্মুট, বনকাপাশি, সুদপুর এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন, এইসমস্ত এলাকাগুলি নীচু হওয়ায় শনিবারে হওয়া বৃষ্টির জেরে জমিতে জমে গিয়েছে জল। যার ফলে তাদের আলু জমি থেকে তোলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। জমিতে জল জমে গেলে আলু তোলা সম্ভব নয়। তাই জমি না শুকনো পর্যন্ত আলু তোলা যাবে না। কিন্তু ফের বৃষ্টি নামলে জমিতে থাকা আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, তাদের এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয় ১৮ হাজার টাকা। যার ফলে এতগুলো টাকার বিনিময়ে আলু চাষ করার পর সেই ফসল বৃষ্টির জলে নষ্ট হলে লোকসান হবে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আলুর আমদানি কমে যাওয়ায় বাড়তে পারে আলুর দাম, এমনটাই আশংকা করা হচ্ছে।