মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এই দুর্দান্ত ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন এক লক্ষ টাকা করে। আজ আমরা এরকমই একটি দুর্দান্ত ব্যবসার ব্যাপারে আপনাকে জানাতে চলেছি যে ব্যবসা করলে আপনি কিন্তু খুব কম সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এরকমই একটা ব্যবসা করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন সমষ্টিপুরের সঞ্জয় রাম। ৫০০টি দেশি মুরগি দিয়ে শুরু করা সঞ্জয় আজ একজন সফল মুরগির খামারি হয়ে উঠেছেন। তিনি দেশি মুরগি, এবং মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেন। এছাড়াও তার প্রচুর টাকা আয় হয় মুরগির ডিম বিক্রি করে। প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার সুযোগ পেয়ে থাকেন সঞ্জয়। চলুন তাহলে তার বিজনেস আইডিয়াটা একটু ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।
স্থানীয় মুরগি কিন্তু পুষ্টির দিক থেকে সাধারণ ব্রয়লার মুরগির থেকে অনেক ভালো। সেই কারণে ভারতে বহু মানুষ দেশি মুরগি কিনতে বেশি পছন্দ করেন। সেই কারণেই আজকালকার দিনে মুরগির খামার তৈরি করার ব্যবসা বড় হতে শুরু করেছে। সঞ্জয় জানাচ্ছেন, দেশি মুরগি বড় হতে ব্রয়লারের থেকে একটু বেশি সময় নেয় কারণ ব্রয়লারের বৃদ্ধি এবং তার জিন একটু উন্নত। কিন্তু পুষ্টিগুণের দিক থেকে দেশি মুরগি ব্রয়লারের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। মুরগি বড় হতে মোটামুটি ৬০ থেকে ৮০ দিন মতো সময় লাগে। সেই কারণে এই ধরনের মুরগির দাম ব্রয়লার মুরগির থেকে বেশি হয়। ব্রয়লার মুরগির দাম যেখানে প্রতি কেজিতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা করে, সেখানেই দেশি মুরগি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কিলো দরে। উভয় মুরগির মাংসে সাধের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির মাংসের চেয়ে দেশি মুরগির মাংস বেশি সুস্বাদু হয়। সেই কারণে আজকালকার দিনে অনেকেই দেশি মুরগি খেতে পছন্দ করেন।
মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে আপনি এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। যখন ৫০০টি মুরগি দিয়ে ব্যবসাটা শুরু করা হয়, তখন থেকেই সঞ্জয়ের আশা ছিল খুব সহজেই এই মুরগির খামার অনেকটা বড় হয়ে উঠবে। এই মুহূর্তে সঞ্জয়ের খামারে হাজারটি মুরগী রয়েছে। ২০০ টি মুরগি ডিম দেয় এবং প্রতিদিন ১০০ পিস মুরগির ডিম বিক্রি হয়। ১০০ টি ডিমের থেকে বাচ্চা প্রস্তুত করা হয় এবং ২১দিনে ১০০০ শিশু মুরগি প্রস্তুত হয়ে যায়। মাসে ৪০০০০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মুরগী বিক্রি করা সম্ভব এই ব্যবসায়। প্রতিদিন ১০০ টি দেশি মুরগির ডিম বিক্রি করে প্রচুর টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সব দিক থেকে দেখতে গেলে এই ব্যবসা এখন ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যবসার মধ্যে একটি।
