ভারতের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সঞ্চয় প্রকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এই প্রকল্পে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারবেন সুদ মারফত। এতে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা জমানোর কোন প্রয়োজন নেই। তার পাশাপাশি আপনি কিন্তু অনেক টাকা সুবিধা পাবেন। তার সাথেই এই টাকাতে একটা গ্যারান্টি থাকবে। সরকারি প্রকল্প যেহেতু, তাই এই টাকার সাথে আপনি গ্যারান্টি পাবেন। আপনার টাকা থাকবে একেবারে সুরক্ষিত। তার পাশাপাশি আপনার ভবিষ্যৎ কাটবে শান্তিতে। ১৫ বছরের মেয়াদে আপনি এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট খুলতে পারেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ৭.১ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে। তাহলে চলুন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এর ব্যাপারে একটু বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
একজন বিনিয়োগকারী চাইলে কিন্তু পোস্ট অফিস থেকেও পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট খুলতে পারেন। তবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যেহেতু এই ধরনের অ্যাকাউন্ট অফার করে থাকে, তাই এই ব্যাংকের সাথে এই অ্যাকাউন্ট করার সুবিধা সব থেকে বেশি। পোস্ট অফিসে গিয়ে আপনাকে অফলাইনে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। তবে sbi-তে সব থেকে বড় সুবিধা হল, আপনি সহজেই বাড়িতে বসে অনলাইনে এই অ্যাকাউন্ট স্টেট ব্যাংকে খুলতে পারেন। তাহলে চলুন স্টেট ব্যাংকে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ওরফে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতিটা জেনে নেওয়া যাক।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১. প্রথমে আপনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনলাইন একাউন্টে লগইন করুন আপনার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।
২. এরপরে রিকোয়েস্ট এন্ড এনকোয়ারি ট্যাবে ক্লিক করুন।
৩. ড্রপডাউন মেনু থেকে নতুন পিপিএফ একাউন্ট অপশনটি সিলেক্ট করুন।
৪. এরপর আপনাকে নতুন পিপিএফ একাউন্টের পেজে রিডাইকেক্ট করা হবে। এরপর আপনাকে প্যান কার্ড এবং আপনার সমস্ত তথ্য নির্দিষ্ট জায়গায় পূরণ করতে হবে।
৫. যদি আপনি কোন নাবালকের নামে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট না খোলেন, তাহলে আপনাকে আপনার ব্যাংক শাখার সমস্ত ডিটেলস নির্দিষ্ট জায়গায় দিতে হবে।
৬. এরপরে আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ, ঠিকানা এবং আপনার নমিনি সিলেক্ট করুন। তারপরে সবকিছু ভেরিফাই করে প্রসিড বাটনে ক্লিক করে দিন।
৭. আপনার ফোন সঠিক ভাবে জমা হয়ে গেলে আপনি একটি ডায়লগ বক্সে দেখতে পাবেন ফর্মের সমস্ত আপডেট। এখানে একটি বিশেষ নম্বর দেওয়া হবে, যেটি আপনার রেফারেন্স নম্বর।