“দলে থেকেও ব্রাত্য তিনি”, জেলার কোর কমিটি এবং মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক
"দলে কাজ করতে পারছিনা, দলে থেকেও ব্রাত্য", জেলার কোর কমিটি এবং মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghosal)
“দলের মাঝে ব্রাত্য।” হুগলিতে শাসক শিবিরের কোর কমিটি এবং মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal) । আগের দিন পুরশুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনসভায়ও দেখা যায়নি প্রবীর ঘোষালকে। বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দাবি করেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কার্ডে ছিল না আমার নাম ও। সেই কারণেই আগের দিন সভায় যাইনি আমি।”
বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন প্রবীরবাবু। দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। এমন কী মুখ্যমন্ত্রীর পুরশুড়ার সভাতেও দেখা যায়নি তাকে। বলেছিলেন মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন। পুর্ব ঘোষণা মতোই এই দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জেলার একটি কলেজের ভবন উদ্বোধন নিয়ে জটিলতার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন,” আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। উনি সমস্যা সমাধানের কথা দিয়েছিলেন। আমার সামনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে এখনও কিছুই হয়নি।” তার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কথা দলের কেউ ই শোনেন না।
প্রবীরবাবুর অভিযোগ, তাকে হারানোর জন্য দলের মাঝে চলছে ষড়যন্ত্র। এমন পরিবেশে তৈরি হয়েছে যেখানে তিনি কাজ করতে পারছেন না। এরপরেই তিনি বলেন,”আমি ভেবেছিলাম বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। কিন্তু বিধায়ক না থাকলে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়। সেই কারণে সিদ্ধান্ত করতে বাধ্য হয়েছি।” এর পরেই জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য পদ এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তবে কি দল ছেড়ে দেবেন তিনি? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,”কাজ করতে পারছিলাম না আমি। নিজেকে ব্রাত্য মনে হচ্ছিল। তবে এখনই দল ছেড়ে দেব নাকি সেই বিষয়ে আমি কিছুই ভাবিনি।” এই দিন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রবীর ঘোষাল। তার বক্তব্য,”রাজীবের মতো ভাল ছেলে কাজ করতে পারল না। আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়েছে।” তবে কি বিজেপিতে যাবেন প্রবীরবাবুও? এখন সেই প্রশ্নের সন্ধানে ওয়াকিবহল মহল।