প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক আশ্রয় কি এবার তৃণমূলে? বাড়ছে জল্পনা
নিজে বিভিন্ন দলের রণকৌশল স্থির করলেও নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও দেখা যায় তাকে। ফলে, শেষ পর্যন্ত জেডিইউ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয় নীতীশ কুমার। বহিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় জেডিইউ-র সহ সভাপতির পদও। তার পর থেকেই জল্পনা বাড়ছে প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বর্তমানে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর কাজে যুক্ত হয়েছে। তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি, দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা, বক্তব্যের খুঁটিনাটি সবই রচিত হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদর দপ্তর থেকে। তাই সব ছেড়ে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা সেই নিয়ে জল্পনা তৈরী হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
প্রশান্ত কুমার তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে পার্থ বলেন, ‘উনি এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন এবং যথেষ্ট সুনামের সঙ্গেই তা করছেন। তবে দলে যোগ দেবেন কিনা সেটা দল ঠিক করবে।’ শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। তবে প্রশান্ত কিশোরের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে তিনি ঘোষিত বিজেপি বিরোধী, অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো নেই। আর উত্তরের রাজ্য থেকে গিয়ে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই জেডিইউ থেকে বহিষ্কারের পর এখন তৃণমূলই প্রশান্ত কিশোরের কাছে একমাত্র বিকল্প হতে পারে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।