দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) এর ফোনেই হয়ে গেল সমস্যার সমাধান। অভিমান ভুলে আবারও সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন হাওড়ার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেল তাকে। তবে গরহাজির বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
দল কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়না তাকে, শুক্রবার এমন অভিযোগ তুলতেই যাখে গিয়েছিল হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানানো হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আর ৫ জন সাধারণ মানুষের মতো সাংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে সে খবর পেতে হয়েছিল তাকে। অভিযোগ সামনে আসার পরেই রাজনৈতিক মহলে মাথাচাড়া দিতে থাকে নতুন জল্পনা। কানাঘুষো সকলে আলোচনা করতে থাকেন তবে কি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও দল পরিবর্তন করবেন? শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পথ অনুসরণ করে তিনিও নাম লেখাবেন গেরুয়া শিবিরে?
এই জল্পনার মাঝেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দমদমের সাংসদ। শনিবার হাওড়ার সাংসদকে ফোন করেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। কাজের ক্ষেত্রে ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে, সে সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন। মনের কথা খুলে বলেন প্রসূন। দু’পক্ষের কথোপকথনে মেলে সমাধান সূত্র। মান-অভিমান থাকলেও দলবদল করবেন না বলেই জানিয়ে দেন প্রসূন। অভিমান ভুলে রবিবার থেকেই সাংগঠনিক কাজে কোমর বেঁধে নামলেন প্রাক্তন ফুটবলার। অরূপ রায়ের (Arup Roy) নেতৃত্বে ডুমুরজলা থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে পা মেলালেন তিনি। ছিলেন জটু লাহিড়ীও। সম্প্রতি তিনিও তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তবে এদিনের মিছিলে গরহাজির বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। দেখা পাওয়া যায়নি লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Sukla) এবং বৈশালী ডালমিয়ারও (Baishali Dalmia)।