কোন টাকা ছাড়াই কর্মস্থল থেকে তাদের বের করে দেওয়া হলে সাহরানপুর থেকে বুলন্দশহর হেঁটে আসতে বাধ্য হন আট মাসের গর্ভবতী এক মহিলা ও তার স্বামী। অনাহারে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ হাঁটার পর মীরাটে পৌঁছালে তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় লোকজন।
শনিবার মীরাটের সোহরাব গেট বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছালে ক্লান্ত ওই দম্পতি ভাকিল ও ইয়াসমিনকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা নবীন কুমার ও রবীন্দ্র। তারা নওচন্ডী থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রেমপাল সিংকে ওই দম্পতির সমস্যার কথা জানান। নওচণ্ডী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা আশুতোষ কুমার বলেছেন, প্রেমপাল সিং ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই দম্পতিকে খাবার ও কিছু নগদ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সে তাদের গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ওই দম্পতির বাড়ি বুলান্দশহরের সায়ানার অমরগড়ে বলে জানা গেছে।
আশুতোষ কুমার নামের ওই পুলিশ কর্তা আরও জানান,, ভাকিল একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ হওয়ায় দু’দিন ধরে তাঁর স্ত্রীর সাথে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে মীরাটে পৌঁছায়। গর্ভবতী ইয়াসমিন পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তার স্বামীর ফ্যাক্টরি মালিকের একটি বাড়িতে তারা থাকতেন। লকডাউন ঘোষণার পরে বাড়ির মালিক তাদের ঘরটি খালি করতে বলেছিলেন এবং তাদের গ্রামে যাওয়ার জন্য কোনও টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন।