এবার কৃষি বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি, যার ফলে আইনে পরিণত হয়েছে ওই তিনটি বিল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। কিন্তু কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় যে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে এদিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি। রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এরপর বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান আট জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করবে বিরোধীরা৷ কেন্দ্রও জানায় নিজেদের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেই আট জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হবে। এমনকি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলের সাংসদরা।
পাশাপাশি দেশের ১৮ বিরোধী দল রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ওই বিলে সাক্ষর না করার অনুরোধ জানায়। এর বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছে অকালি দল। এই নিয়ে দেশের বহু জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে চাষিরা। অন্যদিকে ২২টি পণ্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য দেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।