ভারতঃ শিক্ষায় উত্কর্ষ বাড়ার পাশাপাশি সমাজের একদম নিম্নস্তরের সকল মানুষ এই নতুন শিক্ষার ছোঁয়া পাবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি জানান, নতুন শিক্ষা নীতিতে সমাজের সবস্তরের মানুষ উপকৃত হবেন। এই শিক্ষা নীতি নতুন জোয়ার আনবে। এর আগে নরেন্দ্র মোদি জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে অনেক কথা বলেন। আর আজ
শনিবার ভিজিটর্স কন্ফারেন্স-এ রাষ্ট্রপতি নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে বলেন, “নতুন এই শিক্ষা নীতি তৈরির আগে দেশের ২ লাখ মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের কী সমস্যা তা বোঝার চেষ্টা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের উচিত, শুধুমাত্র ইউজিসি-র মতো সংস্থা তৈরি করেই ক্ষান্ত না থাকা বরং শিক্ষার মান বাড়ানো। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পড়াশোনার ধরনকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নতুন শিক্ষা নীতিতে”।
NEP seeks to discourage rote learning and overemphasis on marks or grades. It seeks to encourage critical thinking and a spirit of enquiry: President Ram Nath Kovind while addressing the Visitor's Conference on 'Implementation of National Education Policy 2020: Higher Education' https://t.co/XwOY54FWgS
— ANI (@ANI) September 19, 2020
এর আগে স্কুল এডুকেশন কনক্লেভে যোগদান করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নয়া কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, “মার্কশিট কখনওই কোনও ছাত্রের শিক্ষার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ণ হতে পারে না। মার্কশিট আদতে শিক্ষার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে মার্কশিট সর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে সার্বিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরো বলেন আমরা ভারতকে জ্ঞান অর্থনীতি পরিণত করার কাজ করছি৷ আমরা সবাই চেষ্টা করলে তবেই এটা সম্ভব।
শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের এই নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে, তাহলেই এর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাই আরও অবগত হবেন। জাতীয় শিক্ষানীতি করা হয়েছে পড়ুয়াদের চিন্তাশক্তি বাড়াতে, প্যাসন বাড়াতে এবং, প্র্যাক্টিক্যালিটি ও পারফর্ম্যান্সের বাড়াতে৷ জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে বিশ্বের সেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাস খোলা যাবে ভারতে৷