Today Trending Newsআন্তর্জাতিকনিউজ

কে হবে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? রাত পোহালেই নির্বাচন আমেরিকা

Advertisement

রাত পোহালেই আগামীকাল মঙ্গলবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। বর্তমানে গোটা বিশ্ব এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে নামছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট জো বাইডেন। যেমন বাইডেন ভোটব্যাঙ্ক আদায়ের জন্য অস্পৃশ্যতার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ঠিক তেমন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ট্রাম্প চীনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করেছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে সার্ভে অনুযায়ী ট্রাম্পের লড়াইয়ে জেতার সম্ভাবনা অনেক কম হলেও ভবিষ্যতে ফল কি হবে তা কেউ বলতে পারে না।

আমেরিকাতে মোট প্রায় ২৪ মিলিয়ন ভোটার আছে। এখানে ভোট দেওয়ার প্রধানত দুটো উপায় আছে। একটি শুরুর দিকে মেল করে ভোটদান ও অন্যটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটদান। ২৮ ই অক্টোবরের মধ্যে ৭.৫ কোটি ভোট পড়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে এবারও হয়তো নিরব ভোটাররাই নির্বাচনের ফলে বাজিমাত করবে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ ভোটদান করেছিল।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভারতের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। এখানে রাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচিত হয় না। আমেরিকান নাগরিকরাই নির্ধারণ করেন কারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। রাষ্ট্রপতিকে বেছে নেওয়ার জন্য আমেরিকার ৫০ টি রাজ্য থেকে ৫৩৪ জন ভোট দেয়ার জন্য নির্বাচিত হয়। তাদের ভোট অনুযায়ী কে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতি হবে তা নির্ধারিত হয়। এই ধরনের নির্বাচনকে নির্বাচনী কলেজ বলা হয়। অবশ্য রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য যে কোনো প্রার্থীকে ন্যূনতম ২৭০ ভোট পেতেই হয়।

এবারের আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও ইহুদিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার ১৬ টি রাজ্যে মোট মার্কিনবাসির ১ শতাংশ ভারতীয়। আবার ৮ টি রাজ্যে প্রায় ১৩ লাখ ভারতীয়ের বাস। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ভারতীয়দের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাই যাচ্ছে। অন্যদিকে, আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী ও ধনী লবি ইহুদিদের অন্তর্গত। সাধারণত ইহুদিরা ডেমোক্রেট পার্টির সমর্থন করে। কিন্তু এ বছরে ইজরায়েলের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ব্যবহার ইহুদিদের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনে লড়েছিলেন। তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৩৪ ভোটের মধ্যে ৩০৬ ভোট পেয়েছিল এবং হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছিল ২৩২টি ভোট। ট্রাম্পের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ৪৬.১ শতাংশ।

Related Articles

Back to top button