LIVE UPDATE: ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
-করোনা মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। দেশের বিকাশের লক্ষ্যেই এই আর্থিক প্যাকেজ।
-দেশ ৫ টি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই ৫ টি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই আর্থিক প্যাকেজ। স্থানীয় ব্রান্ডকে বিশ্বব্র্যান্ড করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
– আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। গরিবদের স্বার্থে কাজ করছে সরকার। সরাসরি ব্যাঙ্কে ভর্তুকি লকডাউনের সময় অনেক সফলতা এনেছে। সমাজের সব স্তরে বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
– ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এই প্যাকেজ। এরফলে উপকৃত হবে ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট।
– ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬ টি পদক্ষেপ রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা।
– ৪ বছরের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ। এই ঋণে কোনো গ্যারান্টি ফি লাগবে না। ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হলে তবেই এই ঋণ মিলবে।
– এনপিএ আওতায় পড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ। এর ফলে উপকৃত হবেনা ২ লক্ষ মানুষ। এই শিল্পকেও ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ।
– ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যবসা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বরাদ্দ রয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
– ২০০ কোটি পর্যন্ত গ্লোবাল টেন্ডার নয়। বিদেশি সংস্থার জায়গায় আসবে দেশি সংস্থা। এর ফলে দেশের ছোট ছোট সংস্থাগুলি অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
– মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম উদ্যোগ অর্থাৎ এমএসএমই- সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হবে ক্ষুদ্র শিল্প। ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছোট শিল্প। আর ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাঝারি উদ্যোগ বলা হবে।
-সরকার থেকে বা কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে যদি কোনও শিল্পের পাওনা বাকি থাকে তা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
– ইপিএফ সদস্যের জুন, জুলাই, আগস্ট মাসের কর্মচারীদের ও নিয়োগকারীদের মাইনের ১২ শতাংশ সরকার দিয়ে দেবে। এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ রয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা।
– বেসরকারি কর্মীদের বেতন থেকে ১০% পিএফ কাটা হবে। আর সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে ১২% পিএফ কাটা হবে। আগামী ৩ মাসের জন্য।
– ১৫ হাজারের নিচে বেতনভুক্ত কর্মীদের আগামী ৩ মাস ইপিএফ দেবে সরকার। এর ফলে হাতে বেশি বেতন পাবে ইপিএফ গ্রাহকেরা।
– সরকারি ঠিকাদারদের চলতি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।
– নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স কোম্পানিগুলির জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
– এনবিএফসি, মাইক্রো ফিন্যান্স, হাউজিং ফিন্যান্স কোম্পানিগুলির জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
– পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং ডিসকমগুলিকে ৯০ হাজার কোটি টাকার এককালীন অর্থের যোগান দেওয়া হচ্ছে। এরফলে গ্রাহকরাও সুবিধা পাবেন।
– রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলির আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেরা আইন মেনে চলতে হয়। এই আইনের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
-যারা নির্দিষ্ট বেতন কোনও সংস্থা থেকে পান না, তাদের ক্ষেত্রে কর কেটে নেবার হার ২৫ % কমানো হচ্ছে। কাল বৃহস্পতিবার ১৪ মে থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত এই কর ছাড় পাওয়া যাবে।
– ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেবার ৩১ শে জুলাই থেকে বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হচ্ছে।