দাম বাড়তে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর, মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের
দাম বাড়তে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) ঘোষণা করেছে ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৭.৩৫%, আর এর ফলেই একলাফে অনেকটাই বাড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। বিশেষত শাক সবজির দাম একলাফে অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিপিআই জানিয়েছে, নভেম্বরের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫৪% পর্যন্ত বেড়েছে ডিসেম্বরে, এবং পরে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন যে, ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি থাকতে পারে ৬.৫%, কিন্তু সেটা বেড়ে ৭.৩৫% যে চলে গিয়েছে।
এই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ফলে এই নিয়ে টানা তিনমাস আরবিএই এর নির্ধারিত মুদ্রাস্ফীতি এর উপরে গেলো মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার পরিমাণ, যেখানে আরবিএই এর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ৪%। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে রেপো রেট কমানো কঠিন হবে। সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপনের কয়েকদিন পর ৬ই ফেব্রুয়ারি আরবিআইয়ের পরবর্তী আর্থিক নীতি পর্যালোচনা হবে।
আরও পড়ুন : নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা, প্রথম রাজ্য হিসেবে সিএএ নিয়ে চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রকে
আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই হচ্ছে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য। মূদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বাড়তে থাকলে তা প্রবল ভাবে দরিদ্রদের উপর প্রভাব ফেলবে, তাই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান লক্ষ্য। মুদ্রাস্ফীতির জন্য গত মাসে সবজির মূল্য বাড়ে ৫৩.৩৭% এবং ডালের মূল্য বাড়ে ১৪.৮১%। যদিও সবজির এই আগুন মূল্য নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে, সবজির দাম বাড়ার পিছনে এবারের আবহাওয়ার অনেকটা প্রভাব আছে, এবমগ সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসেই সবজির দাম কমবে।