বেসরকারি কর্মচারীরা পাবেন প্রতি মাসে এত টাকা পেনশন, দারুন খবর শোনালো ভারত সরকার
ভারত সরকারের তরফ থেকে বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
যারা বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন তাদের জন্য সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় হলো নিজের ভবিষ্যতের খরচা। ভবিষ্যৎটা কিভাবে সুরক্ষিত থাকবে সেই নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। অনেক সময় বেসরকারি অফিসে কাজ করা সত্ত্বেও প্রভিডেন্ট ফান্ড কাটা হয় বেশ কয়েকজন কর্মীর। সে ক্ষেত্রে তাদের চিন্তা হয়ে যায় যে এই পিএফ এর টাকা যদি পরে না পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু তাদের ভবিষ্যতে সমস্যা হয়ে যাবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই সমস্ত কর্মীদের জন্যও ভারত সরকার নিয়ে এসেছে একটা বড় আপডেট। এখন চাকরির পর এই সমস্ত কর্মীদের প্রতি মাসে পেনশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। এখন বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের EPAS সুবিধা দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তারা প্রতি মাসে একটা ভালো টাকা পেনশন পাবেন। চলুন তাহলে এই পিএফ-র পুরো বিষয়টা জেনে নেওয়া যাক।
পেনশন পাওয়ার নিয়ম
যদি কোনও প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করার সময় আপনার পিএফ কেটে নেওয়া হয়, তবে অবশ্যই সহজেই পেনশন পাওয়ার নিয়মগুলি আপনার জেনে নেওয়া উচিত। EPS-এর জন্য আপনার সর্বোচ্চ বেস বেতন হল ১৫,০০০ টাকা। পেনশনের জন্য সর্বাধিক পরিষেবার সময়কাল প্রায় ৩৫ বছর।
এই পরিস্থিতিতে, ৫৮ বছর বয়সের পরে কর্মচারী পেনশন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। ইপিএস পেনশন ১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। পেনশন পেতে হলে ন্যূনতম ১০ বছর একটানা চাকরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। ৫০ বছর বয়সের পরে এবং ৫৮ বছরের আগে পেনশন নেওয়ার পথ আপনার জন্য খোলা থাকছে।
পেনশনের জন্য আপনাকে ফর্ম 10D পূরণ করতে হবে। কোনো কারণে কর্মচারীর মৃত্যু হলে পরিবারের কোনো সদস্য পেনশনের সুবিধা পাবেন। আপনি যদি ১০ বছরের কম চাকরি করেন, তাহলে আপনার ৫৮ বছর বয়সে পেনশনের টাকা তোলার বিকল্প থাকবে।
কর্মচারীর মূল বেতন + DA এর ১২ শতাংশ EPFO অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এতে কর্মচারীর অবদানও সমান থাকে। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ টাকা যায় কর্মচারী পেনশন তহবিলে। বাকি ৩.৬৭ টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে যায়। কর্মচারীর মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ EPF অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ১২ শতাংশ টাকার পরিমাণটা দুটি ভাগে বিভক্ত।