দুর্বল দাঁতের সমস্যা? এই ৪টি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখুন, দাঁত অনেক মজবুত হয়ে যাবে
দাঁত হলো আমাদের এমন একটি অঙ্গ যা আমাদের মুখের আদলের গঠন ঠিক রাখে। দাঁত কালো বা হলদে হয়ে গেলো দেখতে ভালো লাগে না, কারণ হাসলে বা কথা বললে সেই দাত দেখতে খুব বাজে দেখায়। আবার অসময়ে দাত পরে গেলেও মুখ খারাপ দেখায়।
আপনি যখন আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তখন আপনার কোলেস্টেরল কতটা কম বা বেশি তা নিয়ে চিন্তা করেন। সুগার ও বিপি স্বাভাবিক আছে কি না। স্বাস্থ্যের এই চিন্তার মাঝে, খুব কম লোকই দাঁতের যত্ন নিতে সক্ষম হয়, তবে যেভাবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে এবং পুষ্টি গ্রহণের অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে, তখন থেকেই দাঁতের বিষয়ে চিন্তা করা এবং মুখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ।এটা করা হয় যাঁরা দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন যে মুখের স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা কতটা ভারী, তাই এটা জরুরি যে অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের মতো দাঁত সংক্রান্ত সমস্যার কথাও ভাবা উচিত এবং তা প্রতিরোধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি দাঁত মজবুত করতে পারেন। এছাড়া দাঁতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও ঠিক করা যায়।
শক্তিশালী দাঁতের জন্য এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখুন। সুস্থ দাঁতের জন্য ঘরোয়া প্রতিকারগুলো খুব কার্যকরী।
১) লবণ জল দিয়ে গার্গল করুন:-
দাঁতের সুস্থতার জন্য হালকা গরম জলেতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করার অভ্যাস করুন। দাঁতে কোনো সমস্যা থাকলে এবং মাড়ি ফুলে গেলে লবণ জলের গার্গেল করলে আরাম পাওয়া যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক এবং দ্রুত টিস্যু মেরামত করে উপকারী টোটকা।
২) বরফের সেক:-
যদি আপনার মুখে ফোলাভাব থাকে এবং এই ফোলা দাঁতের ব্যথার কারণে হয়, তাহলে বরফ লাগান। বরফের প্যাকটি গালে রাখুন। ব্যথায় উপশম হবে। আপনি প্রতি আধা ঘন্টা এই সেকটি লাগাতে পারেন।
৩) লবঙ্গ রাখুন:-
লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেল দাঁতের ব্যথায় খুবই কার্যকরী। এটিতে বেদনাদায়ক এলাকা অসাড় করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণও বেদনাদায়ক সংক্রমণ নিরাময় করে।
৪) রসুনের গুন:-
লবঙ্গের মতো রসুনেও সংক্রমণ কমানোর গুণ রয়েছে। চিবিয়ে দাঁতে লাগাতে পারেন বা রসুনের পেস্ট বানিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন। আরাম পাবেন এই দাতের ব্যাথার থেকে।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি চেষ্টা করার পাশাপাশি কিছু অভ্যাস গড়ে তোলাও প্রয়োজন। যেমন, প্রতিদিন ভালো করে দাঁত ব্রাশ করা, যাতে আটকে থাকা খাবার দূর করা যায়। খুব বেশি চিনি খেলে দাঁতের প্রতিরক্ষামূলক স্তর ভেঙ্গে যায়, তাই মিষ্টি খাবেন সীমার মধ্যে। এই সব কথা মেনে চললে আপনিও শীঘ্রই দাতের সমস্যার থেকে মুক্তি পাবেন।