‘তুমি এলে তাই’ দিয়ে শুরু হয় অর্পিতার জীবন। সেই ‘তুমি’ এখন বাংলার বুম্বাদা। হ্যাঁ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন অর্পিতা পাল ২০০২ সালে। দেখতে দেখতে ১৮ টা বসন্ত পার করে দিলেন চিরসবুজ প্রসেনজিৎ ও বং ডিভা অর্পিতা। এই বসন্তের মধ্যেই ঘরে আসে ত্রিসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ সেনগুপ্তের ‘উৎসব’ ছিল এই জুটির সেরা প্ল্যাটফর্ম। এই সিনেমাতেই প্রসেনজিৎ-অর্পিতার জুটি ছিল প্রশংসনীয়। উৎসব ছাড়াও এই দুই হিট জুটি পরিচালক হরণাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ছবি ‘প্রতিবাদ’ ও সাম্প্রতিক কালে ‘ফোর্স’ ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেছেন। অভিনয় জীবন ছাড়াও এই দুই পাওয়ারফুল কাপল অফস্ক্রিনেও হিট। লক্ষ্মী পুজো হোক বা সরস্বতী আরাধনা সবেতেই একসঙ্গে নিষ্ঠা ভরে অনুষ্ঠান পালন করেন। অনস্ক্রিনে এই পাওয়ারফুল কাপলকে একসঙ্গে দেখা না গেলেও অফস্ক্রিন দুজন দুজনের প্রতি গভীর প্রেমে আবদ্ধ।
দুজনেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। একে অপরকে খুব কম সময় দিতে পারেন, কিন্তু তাতে কি? সম্পর্কের রসায়নে কোন আঁচ আসতে দেননি এই জুটি। কিন্তু এমন জোরদার সম্পর্কের মূল রহস্য কি? এই ব্যপারে বুম্বাদা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একে অপরকে বোঝা এবং বিশ্বাসই তাঁদের সম্পর্কের রহস্য। অবশ্য এর আগেও বুম্বাদার দুইবার বিয়ে হয়, কিন্তু সব বাঁধা মিটিয়ে অর্পিতার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কে জড়ান বুম্বাদা। ২০০২ এই শুরু হয়ে যায় বুম্বাদার জীবনের বসন্তের নতুন অধ্যায়।
সম্প্রতি অর্পিতা তাঁদের বিয়ের কিছু মুহূর্তের ছবি তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনো যে বুম্বাদার প্রেমে ভাসছেন অর্পিতা তা তাঁর পোস্ট দেখেই স্পষ্ট। ২০০২ এর বিয়ের কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের ছবি তুলে ধরেন অর্পিতা এদিন। লিখেছেন 17years of togetherness। হ্যাঁ, দেখতে দেখতে ১৭ বছর পার করে ফেললেন টলিউডের এই সুপার কুল পাওয়ারফুল জুটি। তবে এই বছর তাঁরা পা রাখলেন ১৮ তে।