ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

এই সরকারি স্কিমে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেই পেয়ে যান ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিটার্ন, জানুন এই প্রকল্পের ব্যাপারে

ভারত সরকার সম্প্রতি ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের পিপিএফ একাউন্ট প্রকল্পটিকে আরো জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে

Advertisement

যদি আপনি আপনার আগামী ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে এই খবরটা শুধুমাত্র আপনার জন্যই। সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফ থেকে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ নামের একটি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে যা সাধারণ মানুষের ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগে তাদেরকে সাহায্য করতে চলেছে। এই অ্যাকাউন্টে যদি আপনারা নিজেদের টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনারা পেয়ে যাবেন দারুণ সুদের হার এবং তার সাথেই থাকবে ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা। এটি একটি সরকারি স্কিম, ফলে কোন অতিরিক্ত ঝুঁকির জায়গা থাকছে না। প্রয়োজন পড়লে আপনারা অতিরিক্ত টাকা তুলে খরচও করতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট থেকে।

যদি আপনি নিজের পিপিএফ একাউন্ট ওপেন করতে চান, তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে এই একাউন্টের সমস্ত ডিটেলস দিয়ে আসতে হবে। পিপিএফ একাউন্ট মাত্র ৫০০ টাকা থেকেই আপনি ওপেন করতে পারবেন এবং প্রতিবছর ন্যূনতম ৫০০ টাকা আপনাকে জমা করতে হবে। এটা কোন বিশেষ বড় কথা নয় যে, আপনাকে এই একাউন্টে একবার টাকা জমা করতে হবে। আপনি নিজের সময় মত এই একাউন্টে টাকা জমা করতে পারেন।

যদি আপনি এই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেন তাহলে আপনি প্রতিবছর ৭.১ শতাংশ করে সুদ পেয়ে যাবেন। এই অ্যাকাউন্টের ম্যাচুরিটি পিরিয়ড ১৫ বছরের। তবে যদি আপনি এক বছরে ৫০০ টাকা জমা করতে না পারেন, তাহলে আপনার একাউন্ট ডিফল্ট অ্যাকাউন্ট বলে স্বীকৃত হবে এবং একটি বিশেষ ক্যাটাগরিতে সেই অ্যাকাউন্ট ফেলে দেবে ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস। সেই টাকা এবং অ্যাকাউন্ট আপনাকে আবারো উদ্ধার করতে হলে ৫০ টাকা পেনাল্টি দিতে হবে অতিরিক্ত।

পিপিএফ একাউন্টে ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাবার পর আপনি নিজের পুরো টাকা সুদ সমেত ফেরত পেয়ে যাবেন। কিন্তু তার আগে যদি আপনার টাকার দরকার পড়ে তাহলেও আপনি এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। তার পাশাপাশি আপনি যদি ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আপনি এই ১৫ বছরের সময়সীমা আরো পাঁচ বছর বৃদ্ধি করে কুড়ি বছর করতে পারেন। তাহলেও কিন্তু আপনি একইভাবে সুদ পেয়ে যেতে পারেন। এই একই কাজ আপনারা আরো কয়েকবার করতে পারবেন এবং এই পিপিএফ একাউন্ট একসাথে চালু রাখতে পারবেন।

পিপিএফ একাউন্ট ১৫ বছর হয়ে গেলে এই অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর হবে এবং সেই সময় আপনি প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পেয়ে যেতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কত টাকা বিনিয়োগ করে আপনি কত টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। প্রথমত যদি আপনি প্রতিমাসে ১০০০ টাকা জমা করেন তাহলে আপনি ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৭২ টাকা পেয়ে যাবেন। ২০০০ টাকা প্রতি মাসে জমা করলে ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ১৩৫ টাকা পাবেন। ৩০০০ টাকা প্রতি মাসে জমা করলে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭০৪ টাকা পাবেন। ৪ হাজার টাকা প্রতি মাসে জমা করলে ১২ লক্ষ ৭২ হাজার ২৭৩ টাকা আপনি পাবেন। যদি আপনি প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে জমা করেন তাহলে আপনি পাবেন ১৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৪১ টাকা। যদি ১০ হাজার টাকা প্রতি মাসে জমা করেন তাহলে পাবেন ৩১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৮০ টাকা। যদি প্রতি মাসে ১২০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে পাবেন ৩৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮২০ টাকা। এবং যদি আপনি ১২২৫০ টাকা প্রতি মাসে বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনিও পাবেন ৩৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৯৯ টাকা।

Related Articles

Back to top button