পুজোর এখনো পর্যন্ত চার মাস বাকি আছে, কিন্তু তার মাঝেই অনেকে প্ল্যান করে রেখেছেন পুজোর কদিন উত্তরবঙ্গে কাটাবেন। আবার যাদের বাড়ি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং যারা কাজের সূত্রে কলকাতায় রয়েছেন তারাও পুজোর সময় বাড়ি ফিরতে চাইছেন। কিন্তু পুজোয় উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রায় সমস্ত টিকিট প্রায় শেষ। আগামী ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজার ষষ্ঠী। মূলত সেই দিনই অফিস করে অনেকে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দিতে চাইছেন। কিন্তু রওনা দেবেন কিভাবে? অধিকাংশ ট্রেনে টিকিট শেষ। আর সিংহভাগ ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলেই রিগ্রেট দেখাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ষষ্ঠীর দিন উত্তরবঙ্গে যাবে বলে অনেকে বুকিং সেরে রেখেছেন। অনেকে অনলাইনেও টিকিট বুক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বুকিং শুরু হতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকিট শেষ। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস, কামরুপ এক্সপ্রেস এর মত একাধিক ট্রেনে কনফার্ম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। দু একটি ট্রেনে এখনো ওয়েটিং লিস্ট চলছে কিন্তু সেই ওয়েটিং লিস্ট আদৌ কনফার্ম হবে কিনা সেই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। একাধিক চাকরির মতে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কেটে সেই ভরসায় পরিবার নিয়ে ট্রেনে চাপা যায় না।
এদিকে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাবেন বলে অনেকেই হোটেল বুকিং করে ফেলেছেন। এমনকি অনেক জায়গায় প্যাকেজ ট্যুর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ট্রেনের টিকিট বুক করতে গিয়ে অনেকেরই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। অগত অনেকেই চিন্তা-ভাবনা করছেন ধর্মতলা থেকে বাস ধরে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হতে হবে। কিন্তু সেই বাসের টিকিট অগ্রিম বুকিং না করলে পূজোর ষষ্ঠীর দিন আদৌ কি টিকিট পাওয়া যাবে? তাছাড়া আগাম টিকিট বুকিং না করলে সেই সমস্ত বাসের টিকিট অত্যন্ত দামি হয়ে যাবে সেই সময়। তবে রেল সূত্রের খবর পুজোর সময় প্রতি বছর স্পেশাল ট্রেন চালানো হয় পশ্চিমবঙ্গের জন্য। বিশেষত উত্তরবঙ্গের জন্য এই ট্রেন চালানো হবে। সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত স্পেশাল ট্রেনের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই ভরসাতেই রয়েছেন টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের অনেকে। যারা উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন অথবা বাড়ি যাচ্ছেন তাদের অনেকেই এই সমস্ত ট্রেনের ভরসায় রয়েছেন। তাই পুজো স্পেশাল ট্রেন অনেকের কাছেই এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।