অষ্টমীতে প্রথম দেখা আর সেদিনই দুর্গা মণ্ডপে দাঁড়িয়ে বিয়ে করে নিলো যুগল। প্রথম দেখার ঘন্টা চারেকের মধ্যে চার হাত হল এক। এবারের পুজোয় এমনই এক প্রেমপ্রনয় পরিনয়ের কাহিনী হয়ে উঠলো।মধ্যরাতের মণ্ডপ নিমেষে যেন ছাদনাতলা। হুগলির হিন্দমোটরের পাত্র সুদীপ ঘোষাল আর বৈদ্যবাটির পাত্রী প্রীতমা বন্দোপাধ্যায় অষ্টমীর সন্ধ্যায় যাকে বলেন আগন্তুক বন্ধু থেকে হয়ে উঠলো জীবনসঙ্গী।
সুদীপ আর প্রীতমার ঠিকানার মধ্যে মাত্র ৫ স্টেশনের দূরত্ব। ২৫ জুলাই ওদের ফেসবুকে আলাপ হয় এবং বেশ কয়েকদিন ফেসবুকে কথা হওয়ার পর তাদের মধ্যে হয় নম্বর চালাচালি। এই তিন মাসে কখনো চার চোখ এক হয়নি তাদের।যোগাযোগ বলতে শুধু ছিল হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা আর মাঝে মাঝে ভিডিও কল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মণ্ডপে প্রথম দেখা হয় দুজনের।পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ জানিয়েছেন, পুজো পাণ্ডেলে প্রীতমা কে দেখে প্রেমে পড়ে যান তিনি। যাকে বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইড’। আর প্যান্ডেল ভরা লোকের সামনে হাঁটু মুড়ে প্রেমের প্রস্তাব দিলেই তার সারল্য দেখেই প্রেমে পড়েন বৈদ্যবাটিতে বুটিক চালানো প্রীতমা।
তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেন যে খুব শীঘ্রই তারা বিয়ে করবেন কিন্তু ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে হবে বলে তারা তা পরিকল্পনা করেন নি। পাণ্ডেল হপিং ছেড়ে পাড়ার মণ্ডপে এলে বন্ধুদের উৎসাহে পুজো মণ্ডপেই প্রীতমা কে সিঁদুর পরায় সুদীপ এবং অষ্টমীর তাদের চার হাত এক হয়। তারপর পুরো মণ্ডপ জুড়ে সানাই এর বদলে বেজে উঠে ঢাক ঢোল। হঠাৎ বিয়েতে বৌমাকে পেয়ে খুব খুশি শশুর – শাশুড়ি। আচমকা হলেও তার সম্পর্ক ও বিয়ে বাড়িতে মেনে নেবে বলে আশাবাদী প্রীতমা। এমনি নববধূ নিজেকে প্রীতমা ঘোষাল বলে পরিচয় দিতে ভুলে নি।