ভারতঃ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পৌঁছেছেন কিনা সেই নিয়ে এদিন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা প্রশ্ন তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উদ্দেশ ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, “আগামী এক বছরে কি ৮০হাজার কোটি টাকার বন্দোবস্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার? কারণ দেশের প্রত্যেকের জন্য প্রতিষেধককিনে তা সরবরাহ ও টিকাকরণের জন্য এই পরিমাণ অর্থই প্রয়োজন হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের৷
এবার এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা কীভাবে করব, সেটাই এখন প্রধান চিন্তা৷” এছাড়াও মার্কিন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা নোভোভ্যাক্স এর সঙ্গে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ গত মাসে ব্রাজিল আর আমেরিকাকে পেছনে ফেলে তিন নম্বরে গেলেও, ভারতে যে হারে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে যথেষ্ট চিন্তিত দেশের আমজনতা। কারণ শুরু থেকে লকডাউন করেও ঠেকানো যায়নি করোনা সংক্রমণ।
প্রতিমাসেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনার হার। এই মুহূর্তে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৭ হাজার ৫৬৩ ও ১৯ হাজার ৩২৪। আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৬৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৪৫ লক্ষ ৯১ হাজার। সারা ভারতে এখন যে পরিমাণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তার জন্য দ্রুত টিকার প্রয়োজন।
করোনার প্রতিষেধক তৈরি এবং গবেষণা কাজে সাহায্যের জন্য গত মে মাসে দেশে পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করার জন্য AstraZeneca-র সঙ্গে চুক্তি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷