দেশনিউজ

পুরীর সমুদ্রের ধারে বালি দিয়ে তৈরি ২৫০০ স্কোয়ার ফিটের এক বৃহৎ সান্তা

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জী : সমুদ্রসৈকতে শিল্পীরা গিয়ে বালি দিয়ে মূর্তি তৈরি করেন, এ কিছু নতুন নয়। তবে ২৫০০ স্কোয়ার ফিটের বৃহৎ সান্তার সাক্ষী রইল পুরীর সমুদ্র সৈকত। শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক পুরীর সমুদ্রের ধারে বানালেন এক বৃহৎ আকার সান্তাক্লজ। লাল জামা পড়ে, লাল টুপি পড়ে, সাদা দাড়ি ওয়ালা সান্টাক্লজ এঁকেছেন। তবে তার আঁকা এই সান্তাক্লজের কাঁধে ঝোলা নেই, তিনি বাচ্চাদের জন্য কোন উপহার দিচ্ছেন না। তবে এই সান্তাক্লজ বড়দের জন্য নিয়ে এসেছেন হাতে একটি সবুজ গাছ। শিল্পী সান্তাক্লজ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে একটা সবুজায়নের সচেতনতা দিচ্ছেন। তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ সান্তাক্লজ এর নিচে লেখা আছে ‘গোগ্রীন’ এবং সাথে আছে কয়েকটি ক্রিসমাস ট্রি এর ছবি।

Advertisement
Advertisement

এই শিল্প তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিল্পী শুধুমাত্র নিজের শৈল্পিক নিপুণতা কেই তুলে ধরেননি, এর পিছনে রয়েছে তার একটি সামাজিক বার্তা। যা এখনকার জন্য আমাদের পৃথিবীতে খুবই প্রসঙ্গত এবং এটি শিল্পীরও একটি সামাজিক দায়িত্ববোধের দিক আমাদের সামনে তুলে ধরছে, তা বলাই বাহুল্য। শিল্পীর কাজ শুধু শিল্প তৈরি করা নয়, তারও যে একটা সামাজিক কর্তব্য রয়েছে তা আমাদের এই শিল্পী খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এমন একটি সান্তাক্লজ এঁকে।

Advertisement

আরও পড়ুন : বড়দিনে হালকা বৃষ্টি, তারপর জমিয়ে শীত 

Advertisement
Advertisement

সান্তা শুধু বাচ্চাদেরই উপহার দেয় না, সামাজিকভাবেও যে আমাদের কতটা খেয়াল রাখে তার একটা বার্তা এখানে শিল্পী আমাদের দিতে চেয়েছেন। বাচ্চাদের পাশাপাশি আমরাও যাতে ভাল থাকি, গোটা পৃথিবী যাতে সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে, তারই একটা বার্তা সান্টা আমাদের দিচ্ছেন এবং সবশেষে ছবিটিতে লেখা আছে ‘মেরি ক্রিস্টমাস’ অর্থাৎ তিনি ক্রিস্টমাসের জন্য আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এখানে শিল্পী থ্রিডি আর্ট এর মাধ্যমে সান্তাকে ফুটিয়ে তুলেছেন, যার ফলে সান্টা অনেক বেশি জীবন্ত, প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সমুদ্রসৈকতেই।

Related Articles

Back to top button