সারা বিশ্বে বর্তমানে আতঙ্কের বিষয় নোভেল করোনা ভাইরাস। মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। যার ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন হয়েছে ব্যহত। সারা বিশ্বে ১.৩ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ৪,৫০০ এর বেশি মানুষ মৃত। যার মধ্যে অধিকাংশ ঘটনাই চীনের। নানান মহলে এই ভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের পোশাকি নাম দিয়েছে কোভিড-১৯। চীন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাইরের দেশগুলোতেও।
ভারতে এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে স্থগিত রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাতে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয়ে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সরকারের পক্ষে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। করোনার জেরে প্রশাসনের তরফ থেকে এই মূহুর্তে বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে মিটিং মিছিল প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি হতে পারে পুরভোট। যার জন্য আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রচার সেভাবে শুরু করেনি কোনো রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন : করোনার মাঝেই বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা, রাজ্যে আক্রান্ত ২
কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে প্রচার চালানো আপাতত সতর্কতামূলক ভাবে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে করোনার থাবায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে। তাই প্রচার কোনোমতেই এই মূহুর্তে সম্ভব নয় বলে মনে করছে বিজেপি। যে কোনও জমায়েতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকরা। যার ফলে মিটিং মিছিলের প্রশ্নই আসে না। অপরদিকে বিজেপি নেতৃত্বের মতে, প্রচার মিটিং মিছিল ছাড়া নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে পুর নির্বাচন আদৌ সম্ভব কিনা এই প্রশ্ন তুলে সোমবারের সর্বদল বৈঠকে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখতে পারে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই পুরভোট নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।