কৌশিক পোল্ল্যে: ‘লকডাউন’ এটি এমন একটি শব্দ যার সঙ্গে মাত্র কিছুদিন আগেও সাধারন মানুষের পরিচিতি ছিল না বললেই চলে কিন্তু আজকের দিনে গোটা ভারততথা পৃথিবীর সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি শব্দ হয়ে উঠেছে। না, কোনো মঙ্গলসূচক শব্দ এটি নয়, বরং এ ডেকে এনেছে এক বিষন্নতা এবং এর ভয়াবহ দিকটি কতখানি নির্মম তা বুঝিয়ে তোলার একটি ছোট্ট প্রয়াস রিন্টু চ্যাটার্জী পরিচালিত শর্টফিল্ম ‘কোয়ারেন্টাইন’।
একই মেসবাড়ির পাঁচটি মানুষ রয়েছেন একই ছাদের তলায়। তারা পালন করছেন কোয়ারেন্টাইনের ১২৮ তম দিন, এর মাঝেই লকডাউন বেড়েছে বেশ কয়েকবার। পাঁচটি অসহায় প্রান রুগ্ন, বিষন্ন, অসুস্থ এবং বলা চলে মৃত্যুপথযাত্রী। আশেপাশের আবাসন থেকে আসা মৃত্যুর ভয় আর তাদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে না। বাড়িতে স্বজনরা কেমন রয়েছে, আদৌ বেঁচে আছে কিনা সে নিয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। মেসে খাবারের আকাল, খাদ্যের ভান্ডার নেমে এসেছে মাত্র দু টুকরো পাউরুটিতে।
চিত্রটা খুব ভয়ংকর তাই না! ছবিটি দেখার সময়ও একই অনুভূতি হতে পারে। এই ছবির মাধ্যমে একটি সুন্দর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, যা বলছে আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে এই দুর্দিনের শিকার হতে পারি আমি, আপনি সবাই। কাজেই সতর্ক হোন, সাবধানে থাকুন, বাড়িতে থাকুন।
ছবির অভিনয়ে থাকা রূপম বসু, রিন্টু চ্যাটার্জী, প্রীতম সাধুখাঁ, কুমুদ লাহা, অভিষেক গাঙ্গুঁলী প্রত্যেকেই এককথায় অনবদ্য, নিজ নিজ চরিত্রগুলি তারা অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবির ডায়লগ ও ভাষ্যপাঠ সহজেই মন কেড়ে নেয়, এছাড়া চিত্রনাট্য ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিজজিকে ছবির আবহাওয়া বজায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
লকডাউনে শিক্ষামূলক এই শর্টফিল্মটি আপনাকে ভবিষ্যতের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। ১০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই ছবিটি চাইলে দেখে নিতেই পারেন। ‘ভারতবার্তা’র তরফ থেকে ৫ এ ৪টি স্টার দেওয়া হল রিন্টু চ্যাটার্জী পরিচালিত শর্টফিল্ম ‘কোয়ারেন্টাইন’কে।
ভিডিওটি নীচে দেওয়া রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।