হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার পদত্যাগ নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নিলেও ঘটনাটির জট কাটছে না তৃণমূলের অন্দরে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপারটি উপর হস্তক্ষেপ করা সত্বেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য রীতিমতো বেচারাম মান্নার সাথে সন্ধির কথা নস্যাৎ করে দিয়েছে। তিনি সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে তার আর বেচারাম মান্নার উপর কোন ভরসা নেই।
সমস্ত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল নতুন ব্লক কমিটিতে দলের ব্লক সভাপতি নির্বাচন ঘিরে। সেখানের ব্লক সভাপতি মহাদেব দাসকে সরিয়ে গোবিন্দ ধারাকে সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। মহাদেব দাস ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ও অন্যদিকে গোবিন্দ ছিল বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ। তাই রবীন্দ্রনাথবাবু প্রশ্ন করেছেন কেন তার ঘনিষ্ঠ মহাদেববাবু কে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিলো দল। সেই নিয়ে সমস্ত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
অন্যদিকে, বেচারাম মান্না সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে যে তার রবীন্দ্রনাথ বাবুর সাথে কোনরকম বচসা নেই। নিউজ মিডিয়ারা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বড় করে দেখানোর জন্য এরকম খবর পরিবেশন করছে। তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক আছে। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা গেছে রবীন্দ্রনাথ বাবুর গলায়। আর তাদের ‘মধুর সম্পর্ক’–এর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন প্রবীণ রাজনৈতিক রবীন্দ্রনাথবাবু অভিযোগ করে জানান, ‘আমার ছোট ছেলে নাকি দুর্গাপুর রোডে লরি থেকে মাল চুরি করে সংসার চালায়। এই অভিযোগ শুনতে হয়েছে তাঁকে। আর আমি নাকি অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করি।’ স্বাভাবিকভাবে এই ‘অপপ্রচার’ এ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এদিন অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বেচারাম মান্নার দিকে।