সারা দেশ জুড়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চলছিলো কৃষি বিল আন্দোলন। এর মধ্যেই বিরোধিদের কৃতিত্বও কম নেই, এদিন কৃষদের খেতি বাঁচাও র্যালিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধী জানান, “আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে এই কৃষি আইন বাতিল করা হবে”।
এদিন রাহুল গান্ধী আরো বলেন, “আমি নিশ্চিত করে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যেদিন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেদিন এই আইন বাতিল করা হবে। আমরা এই তিনটি কালা কানুনকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলব। এই আইনে যদি কৃষকরা খুশি হয়ে থাকেন, যেমনটা প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, তাহলে তাঁরা কেন আন্দোলনে নেমেছেন? যদি কৃষকের স্বার্থেই এই আইন হয়ে থাকে, তাহলে কেন সংসদে আইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল না?”
আগের সপ্তাহেই কংগ্রেসের কর্মীরা ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেন। কৃষি বিলর বিরোধিতার জন্য ওই দিন সকালে কংগ্রেস কর্মীদের একটি দল ট্রাক্টরে চেপে ইন্ডিয়া গেটের সামনে আসে। আর সেখানেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। তার আগেই কৃষি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যার ফলে আইনে পরিণত হয়েছে ওই তিনটি বিল।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। কিন্তু কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় যে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে।
এদিনের এই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি বলেন, “কৃষি বিল পাশ হওয়ার পরে কৃষকের নূন্যতম সহায়ক মূল্য কার্যকর করার বিষয়ে কোনও আইন পাশ করেনি কেন্দ্র। তার মানে এটা দাঁড়ায় যে এমএসপি মোটেই নিশ্চিত নয়”।