নয়াদিল্লি: আগামী সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে মেট্রো পরিষেবা চালু হলেও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। যদিও ‘আনলক ফোর’-এ রেল পরিষেবা চালু হওয়ার জল্পনা উঠেছিল। তবুও কবে ট্রেনের চাকা গড়াবে তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে এখনও পর্যন্ত রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রেল পরিষেবা চালু হলেও অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাড়ানো হবে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা। আর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রায় ৫০০ কম লাভজনক ট্রেন বাতিল করতে পারে রেল। এমনকি ১০ হাজার স্টপেজও বাতিল করতে পারে রেল।
যদিও এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য কোনওভাবেই যাতে যাত্রীভাড়া না বাড়ানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। জানা গিয়েছে, পণ্যবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে ১৫% গতি বাড়ানো হবে। যাত্রীবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে ১০% গতি বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে দূরপাল্লার ট্রেনে স্টপেজ কমানো হবে বলে রেল বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
রেল চাইছে এবার পরিষেবা হবে ‘জিরো বেস্ট টাইমটেবিল’ মেনে। এর জন্য যে সমস্ত ট্রেনে বছরে ৫০ শতাংশ আসন পূর্ণ হয় না, সে সমস্ত ট্রেন আর রাখা হবে না। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্টপেজ আর দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে।
সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাত্রা শুরু করবে কোনও না কোনও ‘হাব’ থেকে। যে সমস্ত শহরেই ১০ হাজারের বেশি জনগণ থাকবে, সেই সমস্ত শহরগুলিকে ‘হাব’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তবে শহরতলীর ট্রেন পরিসেবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। সব মিলিয়ে দীর্ঘ লকডাউনের পর রেল পরিষেবা চালু করার আগে বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে রেল, তা বলাই যায়।