লকডাউন পরবর্তী সময়ে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে এতদিন অনলাইনের মাধ্যমেই টিকিট বুকিং প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিল রেল। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, টিকিট কাউন্টারের ভিড় থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায়, অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, এবার সেই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনছে রেল।
জানা গেছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার থেকে পোস্ট অফিস ও স্টেশনের কাউন্টার থেকে কাটা যাবে টিকিট। শুধু তাই নয়, রিজার্ভেশন সেন্টারের টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টার এবং কমন সার্ভিস সেন্টার থেকেও বুকিং করা যাবে টিকিট। এছাড়াও আইআরসিটিসির লাইসেন্সধারী এজেন্টদের কাছ থেকেও টিকিট বুকিং করতে পারবেন যাত্রীরা। একইসঙ্গে এই সমস্ত জায়গা থেকে টিকিট বাতিলও করতে পারবেন তাঁরা।
১ লা জুন থেকে ২০০ টি অতিরিক্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল। সেই ট্রেনগুলির টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। তখনই রেলমন্ত্রক জানিয়েছিল, ধীরে ধীরে সারা দেশেই স্বাভাবিক করা হবে রেল পরিষেবা। তবে, স্বাস্থ্য বিধির উন্নত প্রয়োগের মাধ্যমেই এই প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। যে কারণে, ১ লা মে থেকে চালু হওয়া ট্রেনগুলির যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল রেলমন্ত্রক।
ভারতীয় রেলের পক্ষে তখনই জানানো হয়েছিল, সর্বাধিক ৩০ দিন আগে কাটা যাবে টিকিট। রেল যাত্রার ৪ ঘন্টা আগে প্রকাশ করা হবে কনফার্ম টিকিটের তালিকা। আরএসি ও ওয়েটিং টিকিট দেওয়া হলেও, টিকিট কনফার্ম না হলে উঠতে দেওয়া হবে না ট্রেনে। ট্রেনযাত্রার আগে স্ক্রিনিং-এর জন্য যাত্রীদের যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে স্টেশনে আসতে হবে।