করোনা ভাইরাস রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের, চালু হল হেল্পলাইন নম্বর
নিত্য দিন বেড়ে চলেছে করোনা আতঙ্ক, সারা বিশ্বের মানুষের মনে গ্রাস করছে এক ভয় – যার নাম করোনাভাইরাস, যার প্রভাব পড়ছে সর্ব ক্ষেত্রে, বিনোদন জগৎ থেকে কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে নিত্য দিনের জীবনযাত্রায়। এবার করোনা নিয়ন্ত্রনে সতর্কতা অবলম্বনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের কোচগুলিতে বিছানা-কম্বল দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ।
এসি কামরায় দেওয়া বিছানা ও কম্বলের পরিছন্নতা নিয়ে যাত্রীদের নানা প্রশ্নে উঠে এসেছে বহুবার, একাধিক মানুষের ব্যবহার করা ওই সব কম্বল থেকে ছড়াতে পারে জীবাণু, যে কারনেই এই পদক্ষেপ নেওয়া। রেলের এসি কামরাগুলিতে দরকার হলে বাড়ানো হবে এসি-র তাপমাত্রা কিন্তু কম্বল একেবারেই নয়। করোনা সংক্রমণের সতর্কতা হিসেবে,অনেক মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্কুল কলেজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে দু’টি কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে যাত্রীরা হেল্পলাইন নম্বরও ফোন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : করোনায় মৃতদের ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নয়, ঘোষণা প্রত্যাহার কেন্দ্রের
ভারতেও ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। একজন কর্ণাটক ও একজন দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে যেসব স্থানে সেগুলি হল – পঞ্জাব, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে। পাঞ্জাবে আগামী ৩১ মার্চ অবধি সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে কোলকাতার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।
পশ্চিমবঙ্গে যদিও আক্রান্ত হননি এখনও পর্যন্ত, তবুও আতঙ্ক কিছু কম নেই রাজ্যে, তাই নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা, বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার জানান আগামী ১৬ মার্চ সোমবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেঙ্গালুরুতে বন্ধ হয়ে গেছে ইনফোসিসের অফিস। মহারাষ্ট্রে স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি করোনা আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।