আমফানের তান্ডব পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। ২০০৯ সালে আয়লার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১১২ কিলোমিটার। আর ২০১৯ সালে বুলবুলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এই গতিবেগের থেকেও আমফানের গতিবেগ বেশি। সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর এই ঝড় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক রেল। শালিমারে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ট্রেনের চাকা। দক্ষিণ পূর্ব রেল একাধিক স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ট্রেনগুলির থেকে যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতে না পারে, তাই শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ট্রেনগুলি যাতে ঝড়ের ধাক্কায় গড়িয়ে না যায় তাই আটকে রেখেছে রেল। দুর্ঘটনা এড়াতে সবরকম ভাবে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ, বসিরহাট, সন্দেশখালি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, নারায়ণগড় এলাকাতেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছে একটি টাস্কফোর্স। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত এই টাস্কফোর্স ২৪ ঘন্টা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।