কলকাতা : রাজ্য মৌখিক অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তাই তড়িঘড়ি রেলকর্তারা বৈঠকে বসছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডিভিশনের সব রেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন শিয়ালদহের ডিআরএম।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সেপ্টেম্বরে রাজ্যের লোকাল ট্রেন চালুতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তারপরই সেপ্টেম্বরের প্রথমে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। এক কর্তা জানাচ্ছেন, দৈনিক ট্রেন চলাচলে অভ্যাস থেকে দীর্ঘদিন দূরে রেলকর্মীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন পাওয়ামাত্র স্বরাষ্ট্র ও রেল মন্ত্রক নিয়ম বেঁধে ট্রেন চলাচলে সম্মতি দিয়ে দেবে বলে তাঁদের আশা। কারণ, যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের বাৎসরিক আয় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। এই ছ’মাসে রেলের প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে। ফলে ফের ট্রেন চালানোয় সম্মতি দেওয়া খুব স্বাভাবিক।
এমতাবস্থায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি না নেওয়া থাকলে পরে বিপদের আশঙ্কা থাকছে। তাই আগেভাগে প্রস্তুত হয়ে থাকতে চাইছেন রেল কর্তারা।
শিয়ালদহ ডিভিশনে বিভিন্ন শাখায় ৭৬৮টি লোকাল ট্রেন চলে, হাওড়ায় লোকালের সংখ্যাটা ২১২।
প্রাথমিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে ২৫ শতাংশ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শিয়ালদহ মূল ফটকের পাশে সংকীর্ণ প্রবেশ ও বেরনোর আলাদা গেট হতে পারে। থার্মাল স্ক্যানার, নিয়মিত স্টেশন স্যানিটাইজ ছাড়াও ট্রেন চলাচলের নিয়ম বেঁধে দেওয়া হতে পারে। একেকটা স্টেশনে অলটারনেট করে গ্যালপ ট্রেন চলতে পারে। রাস্তার পাশের স্টেশনগুলোতে অসংখ্য যাত্রী যাতে ঢুকে না পড়তে পারেন, সেজন্য স্টেশনের বিভিন্ন দিকে RPF প্রহরায় থাকবে