লকডাউনে দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা। আটকে পড়া এই শ্রমিকদের ফেরাতে রেলের তরফে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে রেল আয় করেছে ৪২৯ কোটি টাকা। সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২৯শে জুন পর্যন্ত ৪,৬১৫ টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছে দেশ জুড়ে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে সরকারের মোট খরচ হয়েছে ২,১৪২ কোটি টাকা এবং আয় হয়েছে মাত্র ৪২৯ কোটি টাকা।
শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর শুরু থেকেই ট্রেনের টিকিটের টাকা কে দেবে এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। কেন্দ্র জানায় টিকিটের টাকা শ্রমিকদেরই দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে বিরোধীরা। পরে চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র জানায় ভাড়ার ৮৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে এবং বাকি ১৫ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নেওয়া হবে। সেইমতো এই ৪২৯ কোটি টাকা বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আদায় করা টাকা। শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছে গুজরাত সরকার। গুজরাত দিয়েছে ১০২ কোটি, মহারাষ্ট্র ৮৫ কোটি, তামিলনাড়ু দিয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।
শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে এই টাকা আয় করার তথ্য সামনে আসার পর থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছেন, “দেশের উপর সংকটের কালো মেঘ। মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। আর এই বিপদের সময়েও মুনাফা লুটছে সরকার।” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করে বলেছেন, “সরকার গরিব ভারতবাসীর কষ্ট থেকে মুনাফা উসুল করছে।”