তৃতীয় ঢেউ আসন্ন! অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাজধানী, শতাব্দি ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের
আগামী রবিবার থেকে রাজধানী, শতাব্দি ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে দেশজুড়ে। দৈনিক ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়ছে। তাই ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্যতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আবার আজ থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং বিশেষ কিছু স্পেশাল ট্রেন আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে আগামী রবিবার থেকে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে দুরন্ত, শতাব্দি ও রাজধানী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। আসলে করোনার জেরে যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। এখন ফাঁকা ট্রেন নিয়ে যাওয়া অনেকটা ক্ষতি করতে পারে এই ভেবেই অনির্দিষ্টকালের জন্য এই পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পরেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়া করোনা বিধি জারি করেছেন। সেই অনুযায়ী আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কম যাত্রী হওয়ার জন্য শিয়ালদা থেকে ছাড়া ১৬ টি স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। একই কারণে এবার আগামী রবিবার থেকে বাতিল হল ভারতের প্রধান তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা। অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবেনা দুরন্ত এক্সপ্রেস, শতাবদি এক্সপ্রেস ও রাজধানী এক্সপ্রেস। এছাড়াও করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মাঝে মানুষ এদিক থেকে ওদিক গিয়ে রোগের কবলে পড়ুক এটা চায় না সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল গোটা ভারতবাসী। এরইমধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে যে খুব শীঘ্রই ভারতের বুকে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। তার আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে টিকাকরণ এর উপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও নাগরিকদের টিকাকরন প্রক্রিয়া জারি রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনভাবেই অন্য কাজ দেওয়া যাবে না। এছাড়া তিনি সম্পূর্ণ নিজে থেকে টিকাকরণের কাজের ওপর নজরদারি রাখছেন।
এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতে থেকে বাঁচার জন্য আগে থাকতেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। টিকাকরণ এগিয়ে না থাকলে তৃতীয় ঢেউ সামলানো যাবে না। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে তৃতীয় স্ট্রেন বেশি পরিমাণে শিশুদের ওপর আঘাত হানতে পারে। তাই এখন শিশুদের টিকাকরনের উপর জোর দেয়া হচ্ছে।