অতি সহজে এবং দ্রুত কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার জন্যে চালু হয়েছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। এবারে যাত্রীদের যাত্রা আরো সুন্দর সহজলভ্য এবং দ্রুত করতে রাজধানী এক্সপ্রেসে এলো নতুন সংযোজন। এবারে দুটো ইঞ্জিন নিয়ে ছুটতে চলেছে রাজধানী।সুবিধা পেতে চলেছেন যাত্রীরা।
সামনে এবং পিছনে ইঞ্জিন লাগিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটতে চলেছে রাজধানী এক্সপ্রেস।ফলে গতির সাথে সাথে এখন বাঁচতে চলেছে সময়েও। সুবিধা হবে বহু যাত্রীর। আগে কলকাতা থেকে দিল্লী যেতে রাজধানীর সময় লাগতো ১৭ ঘন্টা ১০ মিনিট। কিন্তু এই পুশ এবং পুল পদ্ধতি অবলম্বন করায় এখন সময় লাগবে ১৫ ঘন্টা ২৪ মিনিট। যার ফলে আগের সময়ের থেকে দেড় ঘণ্টা আগে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা।
পুশ এবং পুল পদ্ধতি কতটা কার্যকর তা দেখার জন্যে চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি থেকে পরীক্ষা করার জন্য এক বিশেষ ছাড়পত্র নেওয়া হয়। এর পর আপ এ পরীক্ষা করে দেখা যায় যে প্রায় ৯০ মিনিট এর মত সময় বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ডাউনে পরীক্ষা করলে একই ফল সামনে আসে। পরীক্ষামূলক ভাবে সফল হয়েছে এই পদ্ধতি।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানান, “পুশ ও পুল এই পদ্ধতির ফলে আপ এবং ডাউনে ৯০ মিনিট করে মোট ৩ ঘন্টা সময় এখন বাঁচবে।” এছাড়া এই পদ্ধতি প্রতিটি যাত্রীর পক্ষে সুবিধাজনক হবে বলে দাবি করেন রেল আধিকারিকের ।
বর্তমানে কুয়াশা এবং সিগন্যালে অসুবিধার কারণে ৯০ মিনিট সময় বাঁচাতে পারছে রাজধানী এক্সপ্রেস। তবে পরের দিকে এই সময় বেড়ে ১৩০ মিনিট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে শুধুমাত্র রাজধানীতে না গতি বাড়াতে এবং সময় সাশ্রয় করতে এবার থেকে শতাব্দী এবং দূরন্ত এক্সপ্রেসে এই পদ্ধতি আনার কথা চিন্তা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।