রাজ্যে সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা আক্রান্তের সংখ্যার সাথে বেসরকারি পরিসংখ্যানের কিছুটা পার্থক্য থেকেই যায়। করোনা নিয়ে তথ্য দেবার ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। এই পরিসংখ্যান নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে তা আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করলেন নবান্নের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
তিনি বলেছেন,” রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৮৯ জন, মারা গেছেন ৫ জন। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে ৪৫০ জন মুক্ত হয়েছেন। নতুন করে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন।” এরপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যাটা আরও বেশি। এই প্রশ্নে মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে বলেন যে করোনা ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং পরে তাঁর করোনা সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁদের এই মৃতের তালিকাতে রাখা হচ্ছে না।
এর সাথে তিনি আরও বলেছেন যে রাজ্য যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে সেটাই একমাত্র ঠিক। মৃতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও অন্যান্য রিপোর্ট দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যে রিপোর্ট দিচ্ছেন সেটাই গ্রহণযোগ্য। তাই মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত হবার দরকার নেই। এরসাথে তিনি লকডাউনের ফলে যে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে সেটার উল্লেখ করেছেন। আর কেন্দ্র যদি লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে রাজ্য ও সেটা মেনে চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।