নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ করায় আটক করা হল ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে।বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে এক প্রতিবাদ মিছিল থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। খবর ছড়াতেই তীব্র নিন্দায় সরব হন বিশিষ্টজনেরা।তাঁদের কথায়, এভাবে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কর্নাটকে।
এদিন বেঙ্গালুরু টাউন হলের সামনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সেই প্রতিবাদে সামিল হন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহও। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নামেন তিনি। টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁকে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে পুলিশ। টানতে টানতে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
আরও পড়ুন : ‘আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়’ জানালেন অমিত শাহ, আক্রমণ মমতার
রামচন্দ্র গুহ জানান, তাঁর হাতে মহাত্মা গান্ধির একটি ছবি ছিল। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে ভারতের সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল।অথচ পুলিশ এসে টানাটানি শুরু করে।প্রতিবাদে অনড় থাকায় তাঁকে আটক করা হয় বলে দাবি করেছেন এই ইতিহাসবিদ। এদিন রামচন্দ্র গুহ ছাড়াও আটক করা হয় আরও ৩০জনকে।
ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ। শুধু রাজনীতিকরাই নন, এই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন আম–ভারতবাসীও।এই আইন সংবিধান বিরোধী বলে দাবি তাঁদের। তাঁদের কথায়, নতুন আইন বলছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে অ–মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। কিন্তু এ দেশের সংবিধান বলে, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে ধর্মের ভাগাভাগি নেই। তাহলে কেন কোনও একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে আইন অন্যরকম হবে, প্রশ্ন তাঁদের।
বৃহস্পতিবার কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। সবরকম অশান্তি রুখতেই এই নির্দেশ বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লির ক্ষেত্রেও কোথাও কোথাও একটু বেশি কঠোর প্রশাসন। বিশেষ করে লালকেল্লা। যদিও প্রতিবাদীদের সাফ বক্তব্য, মিছিল করে লালকেল্লায় তাঁরা যাবেনই।অন্যদিকে আজ কলকাতাতেও পথে নামছেন বিদ্বজনেরা।