নিউজরাজ্য

পাল্টে গেল চরিত্র, লকডাউনে গরিবদের খাবার দিচ্ছেন রানাঘাটের ভাইরাল গায়িকা রানু মন্ডল

Advertisement

কৌশিক পোল্ল্যে: একসময় তিনি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে ভিক্ষা করতেন। সে সময় পাশে ছিল না কেউই। রানঘাট রেলস্টেশনের ৫নং প্ল্যাটফর্মে বসে গাইতেন গান। কেউ ভালোবেসে কিছু খেতে দিত কেউ বা টাকা দিয়ে সাহায্য করত, ওইটুকুই ছিল তার বেঁচে থাকার রসদ। এরপর ভাগ্যের ফেরে রানু পেল লটারি। স্টেশনের ভিখারি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গায়িকা হবার গল্পটি কারোরই অজানা নয়।

এবার ভাইরাল হওয়া গায়িকা এগিয়ে এলেন দরিদ্র মানুষদের সাহায্যে। এলাকারই বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই উদ্যোগে নামেন রানু। স্থানীয় দরিদ্র কিছু মানুষকে নিজের হাতে খাবার তুলে দিলেন গায়িকা। সবটাই অবশ্য সামাজিক দূরত্ব মেনেই করা হয়েছে এবং রানু জানিয়েছেন লকডাউনে তিনি গৃহবন্দিই রয়েছেন। দরিদ্র মানুষদের কষ্ট কতখানি তা ভালোমতোই বোঝেন এই গায়িকা, সেই কারনেই নিজ সাধ্যমতো যতটুকু পারলেন সাহায্য করলেন নিরন্ন মানুষগুলিকে।

তার গলায় ছিল অসাধারন সুর, যে কারনে গোটা ভারতেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভাইরাল সেনসেশন। গতবছরের ২০ই জুলাই দিনটিতে রানাঘাট স্টেশনে বসে গাওয়া গান ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ তার জীবন বদলে দেয় একনিমেষে। তার গায়কিতে মুগ্ধ হন কোটি কোটি নেটিজেনরা। গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় রাতারাতি স্টার বনে যান, রানাঘাটের সাদামাটা প্ল্যাটফর্মের এক দরিদ্র ভিখারিনী।

এরপর তার ভাগ্য বদলায়, মুম্বাই থেকে প্রখ্যাত গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ সিনেমায় গান রেকর্ডিং এর ডাক পান রানু। সেই ছবির গান ‘তেরি মেরি কাহিনি’ সুপারহিট হয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রানুকে, মাঝে অবশ্য বেশ কিছু বিতর্কে ফেঁসে যান ভাইরাল গায়িকা, যদিও সেসবে ইতি টেনে আজকের দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমব্যথী রানু মন্ডল।

Related Articles

Back to top button