অল্পদিনেই আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। অজানা-অচেনা রানুর নাম এখন সবার মুখে মুখে। কলকাতার রানাঘাট স্টেশন থেকে ভারতের বি-টাউনে পদার্পণ করেছেন, গেয়েছেন গান। ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘তেরি মেরি কাহানি’ সবাইকে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়েছে আরো এক দফা। ভাগ্য তো সহায় ছিল, সেইসঙ্গে রানুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক, গায়ক, অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়াসহ আরো অনেকেই।
তবে সম্প্রতি রানু মণ্ডলের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রানু মণ্ডলকে নিয়ে মাতামাতিকে ‘সাময়িক উত্তেজনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন লতা। এটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেও মত দেন সংগীতসম্রাজ্ঞী লতা। এ ছাড়াও ‘কাউকে নকল করে বড় হওয়া যায় না’ বলেও মত দেন ৯০ বছর বয়সী লতা।
লতার ওই মন্তব্যের বেশ কিছুদিন পার হওয়ার পর এ সম্পর্কে মুখ খুললেন রানু। সংবাদমাধ্যম নবভারত টাইমসের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন জানায়, লতার মন্তব্যের জবাব বেশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেই দিয়েছেন রানু। তিনি লতার অবদান স্মরণ করেছেন এবং বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর তাঁর চেয়ে বয়সে বড়। তিনি সব সময়ই লতার ছোট হয়ে থাকবেন।
‘লতাজির বয়সের অনুপাতে আমি অনেক ছোট, ভবিষ্যতেও আমি ছোটই থাকব। ছোট থেকে আমার ওনার গলা ভালো লাগে। ওনার গান শুনেই বড় হয়েছি,’ বলেন রানু।
এর আগে লতা মঙ্গেশকরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান হিমেশ রেশমিয়াও। একটি অনুষ্ঠানে হিমেশ বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের দেখতে হবে এ বক্তব্যের মাধ্যমে লতাজি কী বুঝিয়েছেন। আমি মনে করি, যখন আপনি কাউকে অনুকরণ করবেন, তখন তা ভালো ফল দেবে না। কিন্তু আমি এ-ও মনে করি যে কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
যা হোক, এরই মধ্যে তারকা বনে যাওয়া রানু মণ্ডল নিজেকে কতদূর নিয়ে যেতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।