আগামী মার্চ মাস থেকে শুরু হতে চলেছে ভারতের সর্বপ্রথম Rapid রেল পরিষেবা। আগামী বুধবার এই ট্রেনটি সাহেবাবাদ থেকে গাজিয়াবাদের দুহাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের রাস্তা ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে অতিক্রম করতে চলেছে। এর আগে এই ট্রেনে ট্রায়াল হয়েছিল দূহাই থেকে গুলধর স্টেশন পর্যন্ত। জানিয়ে রাখি, ভারতের এই দ্রুততম রেল পরিষেবা খুব শীঘ্রই সারা ভারতে চালু হতে চলেছে। এই রেল পরিষেবায় পুরো ভারতকে এক সূত্রে গেঁথে ফেলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জানিয়ে রাখি, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দিল্লির সরাই কালে খা থেকে মিরাটের যাত্রা মাত্র ৫০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে। এই রেলপথ নির্মাণ করছে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা NCRTC। ইতিমধ্যেই তারা এই ট্রেনের যাত্রা পথ এবং ট্রায়ালের উপর কাজ শুরু করে দিয়েছে জোর কদমে। সম্ভাবনা রয়েছে খুব শীঘ্রই এই ট্রেন পরিষেবা বাস্তবায়িত হবে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় রেলের এই অত্যাধুনিক ট্রেন দেখতে খানিকটা জাপানের বুলেট ট্রেনের মত। অনেকদিক থেকেই জাপানের বুলেট ট্রেনকে টেক্কা দিতে পারে ভারতের এই রেলওয়ে পরিষেবা। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তবে এখনো পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগ অর্জন করতে পেরেছে এই ট্রেন। এই ট্রেনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। প্রথমে এই ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল ৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগ দিয়ে। সেখান থেকে আজ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগ অর্জন করতে পেরেছে এই বিশেষ ট্রেন। তার সঙ্গে এই ট্রেনের সমস্ত আসন বেশ আরামদায়ক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে মিরাট পর্যন্ত এই যাত্রা পথের দৈর্ঘ্য ৮২ কিলোমিটার। এরমধ্যে ১৪ কিলোমিটার রয়েছে দিল্লিতে এবং বাকি ৬৮ কিলোমিটার রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এতদিন পর্যন্ত এই দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় দু’ঘণ্টার কাছাকাছি সময় লাগতো। তবে এই নতুন রেলওয়ের মাধ্যমে মাত্র ৫০ মিনিটের মধ্যেই এই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে হ্যাঁ, ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথেই কিন্তু এই ট্রেনের ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের থেকে বেশি হবে।