কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন সংক্রমণ মোকাবিলায় বেশি করে প্রয়োজন নমুনা পরীক্ষার। এবার সেই পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। গোটা রাজ্যে বেশ বড়ো সংখ্যায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় আইসিএমআর-এর নির্দেশ অনুযায়ী ১৪টি হাসপাতালে এই ব়্যাপিড টেস্ট শুরু হবে।
যেগুলি হলো – কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, মালদা মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, দেবেন মাহাতো পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল।
সেই অনুযায়ী আজ থেকে উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তি এলাকা থেকেই এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হয়েছে। সকালে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফ থেকে একদল চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা গেছে বেলগাছিয়া দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির বাসিন্দাদের র্যাপিড টেস্ট করা হবে। তবে অযথা ভয় এবং আতঙ্ক যাতে না ছড়ায় সেই কারণে টেস্ট করা হলেও এখনই প্রকাশ করা হবে না রিপোর্ট।
এই টেস্টের বিষয়ে আইসিএমআর-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অ্যান্টিবডি টেস্ট হলো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের পরিমাণ নির্ণয়। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানান, “কারও শরীরে যদি উপসর্গ দেখা দেয় তবে তার সাত দিন পরে চিকিৎসকের নজরদারিতে অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে।”