Ration Card: প্রতিমাসে রেশন তুলছেন? নভেম্বর থেকে কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে নিয়ম, জারি হল নির্দেশ
নভেম্বর মাস থেকে এই রেশন তোলার ক্ষেত্রে সারা ভারতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে
এতদিন খাদ্য সুরক্ষা আইনের অন্তর্গত ৮০ কোটি সাধারণ মানুষকে ভর্তুকি দিয়ে সামান্য দামে চাল এবং গম বিক্রি করত সরকার। গমের জন্য মাত্র ২ টাকা প্রতি কেজি দাম দিতে হতো এবং চালের জন্য দিতে হতো ৩ টাকা প্রতি কেজি দাম। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য বেশ কিছু রাজ্যে এই ধরনের নিয়ম চালু ছিল এতদিন পর্যন্ত। অন্য অনেক রাজ্যে কিছুটা বেশি চাল এবং গমের উপর ভর্তুকি থাকতো। কেউ আবার বাড়তি চাল গম বা অন্যান্য পণ্য রেশনে দিত। তবে এবার এই কেন্দ্রীয় সরকার রেশনের সম্পূর্ণ খরচ পুরোটা অফার করছে এবং তার সাথেই কেন্দ্রীয় সরকার কতটা রেশন দিচ্ছে এবং কি কি থাকছে তাদের রেশনে, সেসব আগে থেকে জানিয়ে দেওয়ার বিধান নিয়ে আসা হচ্ছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার ডিলারদের নির্দেশ দিয়েছে, যদি রাজ্য সরকার বাড়তি কোন পণ্য দিয়ে থাকে, তাহলে সেটা আলাদা করে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবে। একই বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কি দিচ্ছে তা স্পষ্ট করে বোঝানো যাচ্ছে না।
অর্থাৎ এবার, রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার সময় উপভোক্তারা ভর্তুকির ব্যাপারে সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে পেরে যাবেন। উপভোক্তাদের যে পরিমাণ খাদ্যশস্য দেওয়া হবে এবং সেই খাদ্যশস্যের পিছনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের খরচের ঠিক কতটা শেয়ার সেটা উল্লেখ করা থাকবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা আসার পরে এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকার গুলিকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ছিল। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সরাসরি নির্দেশিকা আসার পরে তাদেরকেও নতুন নিয়ম কার্যকর করতে হচ্ছে। চাল গম দিতে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে তা গ্রাহকদের স্লিপে উল্লেখ করা থাকবে। রেশন দোকানের POS যন্ত্র থেকে কাগজের এই স্লিপ চলে আসবে।
এতদিন পর্যন্ত, রেশন গ্রাহকরা চাল গম একেবারে বিনামূল্যে পেয়ে যেতেন। এর ফলে ওই স্লিপে দামের কোনরকম উল্লেখ থাকত না। তবে, রাজ্য সরকার একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতাভুক্ত গ্রাহকদের জন্য নতুন স্লিপ চালু করা হবে। রেশন গ্রাহকদের প্রতি কেজি চালের জন্য সরকারের খরচ হচ্ছে ৩৭ টাকা ৪৬ পয়সা। অন্যদিকে গমের জন্য খরচ হচ্ছে ২৭ টাকা ৮ পয়সা করে।
প্রসঙ্গত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সমস্ত খরচ যে কেন্দ্রীয় সরকার একা বহন করে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের কমিশন এবং পরিবহন খরচ বহন করে থাকে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের অধীনে যে খাদ্য সুরক্ষা যোজনা রয়েছে, তার সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করে থাকে। সেই কারণেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে এবার থেকে স্লিপ তৈরি করা হলেও সেই একই স্লিপে রাজ্য সরকার কত টাকা খরচ করছে উপভোক্তাদের জন্য, সেটাও কিন্তু লেখা থাকবে।