Ration Card: রেশন কার্ডে আপনার নাম নিবন্ধন করুন, আপনি কীভাবে আবেদন করবেন
আপনার কাছে রেশন কার্ড রয়েছে? কিংবা রেশন কার্ডে আপনার নাম নথিভুক্ত আছে কি? যদি তা না হয়, তবে আপনার নাম শীঘ্রই রেশন কার্ডে নিবন্ধিত করা উচিত, এটি একটি খুব দরকারী জিনিস। একটি রেশন কার্ড কেবল আপনার জন্য নথি হিসাবে কাজ করবে না, আপনার খাবারের ব্যবস্থাও করবে।
পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) আপনাকে বিনামূল্যে বা যুক্তিসঙ্গত মূল্যে চাল, ডাল, গম এবং চিনি সরবরাহ করে। অনেক রাজ্যে এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে গরিব পরিবারের মানুষদের লুঙ্গি, গামছা, ধুতি, শাড়িও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা, পোস্ট অফিসে সেভিংস স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলা, মোবাইল ফোন কেনা, আধার কার্ড তৈরি বা আপডেট করার জন্যও রেশন কার্ডের প্রয়োজন হয়।
আমরা আপনাকে এই প্রতিবেদনে বলতে চলেছি কীভাবে রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য আবেদন জমা দিতে হবে। রেশন কার্ড এমন একটি নথি যার সাহায্যে সাধারণ মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। সরকার প্রায়শই অভাবী মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প নিয়ে আসে। আপনার কাছে যদি রেশন কার্ড থাকে তবেই আপনি সেগুলির সুবিধা নিতে পারেন।
রেশন কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
প্রথমে http://nfsa.up.gov.in/Food/citizen/Default.aspx) সাইটে যান। এখানে আপনি আপনার রেশন কার্ড তৈরি করার বিকল্প পাবেন, এটিতে ক্লিক করুন। নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন। তথ্য পূরণ করার পরে, আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় নথি যেমন আধার কার্ড, ভোটার আইডি, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি আপলোড করতে হবে। সব কাগজপত্র আপলোড করার পর আবেদন ফি জমা দিতে হবে।আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনার যোগ্যতা যাচাই করা হবে। যদি মানদণ্ড পূরণ হয় তবে কয়েক দিনের মধ্যে আপনার রেশন কার্ড আপনার কাছে উপলব্ধ হবে।
কারা পাবেন রেশন কার্ড?
রেশন কার্ড পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। বয়স অবশ্যই 18 বছরের বেশি হতে হবে। পরিবারের কারও সরকারি চাকরি থাকলে হবে না। পুরো পরিবারের কারও বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। বাড়িতে কোনও চার চাকার গাড়ি থাকলে হবে না। পরিবারের কোনো সদস্যের মাসিক আয় ১০ হাজারের বেশি হবে না।