ভারতে রেশন কার্ডের একটি আলাদাই মর্যাদা রয়েছে। রেশন কার্ড শুধু সরকারের দেওয়া সস্তায় রেশনের মাধ্যম নয়, এটি পরিচয়েরও প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের গরিব মানুষদের জন্য রেশন কার্ড দেয়। পরিবারের প্রধানের নামে রেশন কার্ড ইস্যু করা হয়, যার মধ্যে পরিবারের সমস্ত সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকে। সব মিলিয়ে ভারতবাসীর জীবনে রেশন কার্ডের গুরুত্ব আলাদা। আপনারও কি রেশব কার্ড রয়েছে? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর।
আসলে মধ্যপ্রদেশ সরকার ২০২৪ সালের রেশন কার্ডধারীদের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। যদি আপনার নাম আগে রেশন কার্ডের তালিকায় না থাকে তবে আপনি এখন নতুন তালিকা দেখে নিতে পারেন। রেশন কার্ডের তালিকায় নাম থাকলে খাদ্য সামগ্রীর সুবিধা পেতে শুরু করবেন আপনিও। এর আগে রেশন কার্ড তৈরির জন্য সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বেঁধে দিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে কেবলমাত্র যেন যোগ্য ব্যক্তিরাই শস্যের সুবিধা পান। আপনি সহজেই রেশন কার্ডের তালিকায় নিজের নাম পরীক্ষা করতে পারেন, যাতে কোনও বিভ্রান্তি না হয়।
আপনিও যদি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন, মধ্যপ্রদেশ সরকার তিন ধরনের রেশন কার্ড ইস্যু করে, যার প্রতিটি আলাদা শ্রেণির জন্য।
১. বিপিএল রেশন কার্ড: এই কার্ডের জন্য রেশন কার্ডধারীর বার্ষিক আয় ১০ হাজার টাকার কম হতে হবে। বিপিএল রেশন কার্ডগুলি সাধারণত লাল, নীল বা গোলাপী রঙের হয়।
২. এপিএল রেশন কার্ড: রেশন কার্ডধারীর বার্ষিক ১ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ব্যক্তিরা এপিএল কার্ড পান। এই কার্ডের রঙ কমলা হয়।
৩. এএওয়াই রেশন কার্ড (অন্ত্যোদয় যোজনা): এই কার্ডটি তাদের জন্য যারা বিপিএলের নীচে বাস করছেন। এটির রং হলুদ।
প্রতি মাসে কম দামে গম, চাল, কেরোসিনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। রেশন কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা অনেক জায়গায় পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রেশন কার্ড থাকলে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারও পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।